আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্প
কয়েক বছর ধরেই স্বপ্নের মতো খেলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ক্রিকেটের পরাশক্তিগুলোর চোখে চোখ রেখে লড়াই করে চলছেন তামিম-সাকিবরা। তবে তীরে এসে তরী ডোবার হতাশা ভর করেছে দলটির ওপর। পুরো ম্যাচে ভালো খেলেও কেবল ফিনিশিংয়ের অভাবে জয় হাতছাড়া হচ্ছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে শেষ ৩ বলে ২ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডকে ১৪৫ রানে আটকে দিয়েও ব্যর্থ হন ব্যাটসম্যানরা। এর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩১০ রানের টার্গেটে ৫১ বলে প্রয়োজন ৪০ রান হাতে পাঁচ উইকেট। জয়ের মঞ্চ প্রস্তুতের জন্য যখন সব আয়োজন চূড়ান্ত, তখন অল্প স্বল্প ভুলই সব শেষ করে দিল। ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের মঞ্চটা পরিণত হলো পরাজয়ের গ্লানিতে। টেস্ট সিরিজেও শেষের আক্ষেপে প্রথম টেস্ট হেরে বসে লাল-সবুজের দেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৮৬ রান করেও হারতে হয় তামিমদের। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতায় জয়ের আবহ ছেয়ে যায় বিষাদে। ক্রিকেটের ১২৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে এত রান করে হারেনি আর কোনো দল।
দ্বিতীয় টেস্টেও একই চিত্র। নিউজিল্যান্ডকে বাগে পেয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ টাইগাররা। কাকতালীয় কিছু না হলে এই টেস্টে বাংলাদেশ যে হারছে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
দলীয় মাত্র ১৭ রানে অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট দিয়ে শুরু। এর পর উইকেটে সেট হয়েও ফিরলেন সৌম্য সরকার। অবিবেচকের মতো শট খেলে উইকেট বিলিয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। এর পর অহেতুক শট খেলতে গিয়ে প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিয়ে আসেন সাব্বির-সোহানরা। তাসকিন-রাব্বি প্রতিরোধ গড়ে কিউইদের সামনে ১০৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যর্থতায় আরেকটি হারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।