আপনার জিজ্ঞাসা
বিতরের নামাজের নির্দিষ্ট সূরা আছে কি?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। শরীফ বায়জীদ মাহমুদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫২৪তম পর্বে বিতরের নামাজের কোনো নির্দিষ্ট সূরা আছে কি না, সে সম্পর্কে টঙ্গী থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন এক দর্শক। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : বিতরের নামাজের কোনো নির্দিষ্ট সূরা আছে কি? নাকি যেকোনো সূরা পড়া যায়?
উত্তর : না, বিতরের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সূরা নেই। বিতরের নামাজ মূলত ইবাদতের জন্য, নামাজের জন্য। বিতরের নামাজ আদায়ের জন্য নবী (সা.) কোনো নির্দিষ্ট সূরা নির্ধারণ করে যাননি; বরং আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কোরআনে কারিমের মধ্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘কোরআন থেকে তোমাদের সাধ্যে যতটুকু কুলায়, তোমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়, তোমরা ততটুকু তিলাওয়াত করো।’
কিন্তু নবী (সা.) বেশিরভাগ সময় সুনির্দিষ্ট কিছু সূরা বিতরের নামাজে তিলাওয়াত করতেন। এই মর্মে নবীর (সা.) হাদিস সাব্যস্ত হয়েছে। যেহেতু নবী (সা.) এই সূরাগুলো তিলাওয়াত করতেন, সুতরাং কেউ যদি এই সূরাগুলো তিলাওয়াত করেন, তাহলে নবীর সুন্নাহ অনুসরণ করার জন্য তাঁর এই কাজ সুন্নাহ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে এবং ফজিলতের কাজ হবে।
যেমন : নবী (সা.) বিতরের নামাজের প্রথম রাকাতে সূরা আলা পড়তেন, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস পড়তেন। সুতরাং এই পদ্ধতি যদি কেউ অনুসরণ করেন, তাহলে করতে পারেন। কোনো কোনো রেওয়াতে এসেছে নবী (সা.) প্রথম রাকাতে সূরা আলা পড়তেন, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা জিলজাল এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস পড়তেন।