হজ-উমরা
কীভাবে প্রস্তুত হবেন হজযাত্রী
সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ পালন অবশ্যকর্তব্য। আমরা সব সময় চর্চা করি না বলে হজ পালন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা থাকে না। হজের শুদ্ধ পদ্ধতি, হজের প্রস্তুতি এসব বিষয়ে জানা আমাদের কর্তব্য। এ লক্ষ্যেই এনটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হজ ও উমরা’। এ অনুষ্ঠানে হজ ও উমরার প্রস্তুতি নিয়ে তথ্যচিত্রে আলোচনা করেছেন কুরআন শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হজ প্রশিক্ষক মুহাম্মদ তানভীর হোসেন
‘হজ ও উমরা’র প্রস্তুতি প্রশিক্ষণের প্রথম পর্বের অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রস্তুতি
হজের প্রস্তুতির জন্য আপনাদের পাসপোর্ট থাকতে হবে, হজের যাওয়ার আগে নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে, ভিসা পেতে হবে, টিকেট করতে হবে এবং একটা আইডি কার্ড সংগ্রহ করে নিতে হবে।
এহরামের প্রস্তুতি
এহরামের প্রস্তুতির জন্য আপনাদের যে কাজটি করতে হবে সেগুলো যেদিন আপনার ফ্লাইট, সেদিন আপনি এই কাজগুলো করবেন না। ফ্লাইট হওয়ার একদিন বা দুদিন আগে আপনি কাজগুলো করবেন। এর মধ্যে রয়েছে—
যাত্রা আরম্ভের পূর্বেই করণীয় (নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য)
১. পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য শারীরিক পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা, যেমন—নখ কাটা ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা।
যেদিন উমরার ফ্লাইট হবে, সেদিন করণীয়
২. অজু বা গোসল করে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা এবং দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা।
(পুরুষ)
৩. পুরুষরা সেলাইযুক্ত যত কাপড় আছে, অন্তর্বাসসহ, সেগুলো খুলে সেলাইবিহীন দুটো কাপড় পরিধান করবেন। একটি কাপড় থাকবে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর ঢাকার জন্য এবং আরেকটি কাপড় পিঠের দুই কাঁধসহ পিঠ ঢাকা থাকবে।
(মহিলা)
৪. মেয়েরা সাধারণত পরিষ্কার, পবিত্র যে ধরনের পোশাক আছে তা তাঁরা পরিধান করবেন। তবে মেয়েদের জন্য অবশ্যই হাতের কব্জি ও মুখমণ্ডল—এ দুটি জায়গা খোলা থাকতে হবে।
এহরাম বাঁধার স্থান
মিকার থেকে এহরাম বাঁধা উত্তম। তবে বর্তমান সময়ে বাসা, হজক্যাম্প, বিমানবন্দর যাওয়ার পরে বোর্ডিং, ইমিগ্রেশন, চেকিং শেষ করার পর অথবা প্লেনে উঠেও এহরাম বাঁধতে পারেন।
এহরামের নিয়ত
এহরামের নিয়ত বা সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে এহরামের উদ্দেশ্যের ওপর। আমরা যেহেতু তামাত্তু হজকারী, আমাদের উদ্দেশ্য তামাত্তু হজ করা, সুতরাং যখন বের হবেন আপনার কাজ হবে উমরা করা। তাই নিয়ত হবে উমরার জন্য।
লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা উমরাতান (হে আল্লাহ আমি হাজির, উমরাহ করার জন্য)
তালবিয়া পড়া
নিয়ত করার পর তালবিয়া পড়তে হবে।
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়া'মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক। (অর্থ—আমি হাজির, হে আল্লাহ। আমি হাজির, আমি হাজির, আপনার কোনো শরিক নেই, আমি হাজির। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নেয়ামত আপনারই, সমগ্র রাজত্বও আপনারই, আপনার কোনো শরিক নেই।)
তালবিয়া যখন পড়বেন, তখন তিনবার করে তালবিয়া পড়বেন। ছেলেরা উচ্চ স্বরে ও মেয়েরা ক্ষীণ স্বরে তালবিয়া পড়বেন। যখন এহরামের ভেতর প্রবেশ করবেন, নিয়ত করবেন তখন থেকে তালবিয়া পড়া শুরু করবেন। এরপর উমরা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং কাবাতে ঢুকে, বায়তুল্লাহে ঢুকে, কাবাঘর দেখা না পর্যন্ত আপনার কাজ হবে শুধু তালবিয়া পড়া। যখন যে অবস্থায় থাকবেন, সে অবস্থায়ই তালবিয়া পড়তে থাকবেন। ওপরে ওঠার সময় তালবিয়া পড়বেন, নিচে নামার সময় তালবিয়া পড়বেন, বসে থাকলেও তালবিয়া পড়বেন, ঘুমাতে গেলেও তালবিয়া পড়বেন, ঘুম থেকে উঠে তালবিয়া পড়বেন। অর্থাৎ আপনার কাজ একটাই— বেশি বেশি তালবিয়া পড়া।
দোয়া পড়া
রাসুল (সা.) প্রদর্শিত সফর-সংক্রান্ত যত দোয়া আছে, প্রতিটি দোয়া পড়বেন ইনশাআল্লাহ।
সফর আরম্ভ (দোয়া)
১. সফর আরম্ভ করার জন্য আপনার পরিবার-পরিজন যাঁদের রেখে যাবেন, তাঁদেরকে রাসুল (সা.) যে দোয়াটি শিখিয়ে দিয়ে গেছেন, তাঁদের জন্য আপনি সে দোয়াটি করবেন। (আসতাওদি উকুমুল্লাহাল্লাজি লা তাদিউ ওয়া দায়িউহু)
২. আপনার পরিবারের সদস্য যাঁরা আছেন, তাঁরাও আপনার জন্য দোয়া করবেন। তাঁরা যে দোয়াটি করবেন, আপনার কাজ হবে ওই দোয়া যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের লিখে দেবেন এবং তাঁরা আপনার জন্য সে দোয়াটি করবেন। (আসতাওদি উল্লাহা দিনাকা ওয়া আমানাতাকা ওয়া খাওয়াতিমা আমালিকা। যাও ওয়াদাকাল্লাহু তাকওয়া ওয়া গাফারা লাকা যাম্বাকা ওয়া ইয়াসসির লাকাল খাইরা)
৩. যখন ঘর থেকে বের হবেন, রাসুল (সা.)-এর দেখানো দোয়াটি পড়বেন। এই দোয়া আমরা মোটামুটি সবাই জানি। (বিসমিল্লাহি তাওয়াক্বালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)
৪. এরপর বাহনে উঠে আপনি হজক্যাম্প বা বিমানবন্দরে যাবেন। বাহনে উঠে রাসুল (সা.) যে দোয়া দেখিয়ে দিয়েছেন, অবশ্যই সে দোয়া পড়বেন। মনে রাখতে হবে, এই দোয়াগুলো হজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এই দোয়াগুলো সফরের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেহেতু এই সফর আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ সফর, সুতরাং অবশ্যই আপনি একটি দোয়াও বাদ দেবেন না। (আল্লাহুম্মা ইন্নি আ'উযুবিকা আন আদিল্লা আও উদাল্লা, আও আযিল্লা আও উযাল্লা, আও আজলিমা আও উজলামা, আও আজহালা আও ইউজহালা 'আলাইয়া।)
যানবাহনের দোয়াটি পড়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে চারটি জিনিস প্রার্থনা করবেন।
- আপনি যেন কাউকে পথভ্রষ্ট না করেন, আপনাকে যেন কেউ পথভ্রষ্ট না করে।
- আপনি যেন কাউকে পদস্থলিত না করেন, আপনাকে যেন কেউ পদস্থলিত না করে।
- আপনি যেন কারো সঙ্গে অন্যায় আচরণ না করেন, আপনার সঙ্গে যেন কেউ অন্যায় আচরণ না করে।
- আপনি যেন কারো সঙ্গে মূর্খতাপূর্ণ আচরণ না করেন, আপনার সঙ্গে যেন কেউ মূর্খতাপূর্ণ আচরণ না করে।
আপনি ইচ্ছা করলে আরো বেশি সফরের দোয়া পড়তে পারেন। এরপর ইনশাআল্লাহ আপনি হজক্যাম্প বা বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবেন।
বিমানবন্দরে করণীয়
বিমানবন্দরে পৌঁছে প্রথম কাজটি হবে হজ এজেন্সি বা মুয়াল্লেম বা গাইডের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। এরপর দলবদ্ধ হবেন, বোর্ডিং পাস নেবেন, ইমিগ্রেশন শেষ করবেন, চেকইন করবেন এবং বিমানে উঠবেন। বিমানে ওঠার সময় আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতেই হবে। হজের অন্যতম বিষয় ধৈর্যধারণ করা।
বিমানে উঠে করণীয়
যখন বিমানে উঠবেন এবং সেটি যদি হজ ফ্লাইট হয়ে থাকে, তাহলে এয়ার হোস্টেজ বা এয়ার ক্রু আপনাকে বলে দেবেন, ‘হাজি সাহেব, এটি হজ ফ্লাইট। আপনার বোর্ডিং কার্ডে যে নম্বরটা লেখা আছে, সেটি নিয়ে আপনার সুবিধামতো সিটে বসে যান।’ দয়া করে হজের বিমানে ওঠার পর সিট নিয়ে কারো সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। ধৈর্য ধারণ করবেন এবং সিটে বসে যাবেন। আর যদি এহরামের ভেতরে ঢুকে থাকেন, তাহলে আপনার কাজ একটাই, বেশি বেশি তালবিয়া পড়তে থাকবেন। বিমানে বসার পর আপনাকে বিমান কর্তৃপক্ষ খাবার দিয়ে যাবে। এখানে সব খাবার হালাল। কিন্তু খাবারের ট্রের মধ্যে একটি প্যাকেটে দেখবেন ওয়েট টিস্যু পেপার আছে। এটি সুগন্ধিযুক্ত টিস্যু। যেহেতু সুগন্ধি এ সময় ব্যবহার করা যাবে না, তাই ওই টিস্যু ব্যবহার করতে পারবেন না যদি এহরামের ভেতর ঢুকে থাকেন।
আর যাঁরা কখনো বিমানে ওঠেন নাই বা উঠেছেন, তাঁরা অবশ্যই বিমানের টয়লেট ব্যবহার করা জেনে যাবেন। আপনার পাশে যদি কোনো বয়স্ক হাজি থাকেন, যিনি কখনো বিমানে ওঠেন নাই, তাহলে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন এবং তাঁকে টয়লেট ব্যবহারের পদ্ধতি শিখিয়ে দেবেন। যাঁরা জানেন, তাঁরাও যদি এহরামের ভেতর ঢুকে থাকেন, বিমানের টয়লেটে ঢোকার পর সেখানে যদি তরল সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ থাকে, তাহলে তা ব্যবহার করবেন না। কারণ, সেটি সুগন্ধযুক্ত। আপনার কেবিন ব্যাগের ভেতরে অবশ্যই টিস্যুরোল নিয়ে নেবেন, যাতে করে সেটি ব্যবহার করতে পারেন।
জেদ্দায় অবতরণকালে করণীয়
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে জেদ্দা ছয় ঘণ্টার যাত্রা। বিমানে আরোহণের আগে আপনি যদি এহরামের ভেতর ঢুকে না থাকেন, আপনি যদি মনে করেন মিকা থেকে এহরাম করবেন, সে ক্ষেত্রে মিকায় পৌঁছানোর আগেই বিমানে ঘোষণা দেওয়া হবে, মিকা চলে এসেছে আপনারা এহরাম বেঁধে নিন। ওই সময় একটু সজাগ থাকবেন যাতে আপনার এহরামটা শেষ করতে পারেন।
এরপর জেদ্দা হজ টার্মিনালে আপনার বিমান অবতরণ করবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে যখন জেদ্দায় পৌঁছে যাবেন, তখন আপনি অবশ্যই এহরামের ভেতর থাকবেন। বিমান থেকে নামার পর সেখানে এসি গাড়ি আসবে, গাড়ি আপনাকে হজ টার্মিনালের ভেতরে নিয়ে যাবে এবং একটি রুমে রাখবে। সেখানে যদি কোনো কাজ থাকে, কোনো কাগজ পূরণ করার থাকে তাহলে তা পূরণ করে দেবে। আর না হয় যখন ইমিগ্রেশনের লাইন একটু কম হয়ে যাবে তখন আপনাকে সেখানে নিয়ে যাবে। ইমিগ্রেশনে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং দাঁড়াতে হবে। পুরো হজ সফরে আল্লাহ বহুবার আপনার কাছ থেকে ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন। প্রতিটিতেই সফল হওয়ার চেষ্টা করবেন।
যখন এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে, আপনি কনভেয়ার বেল্টে যাবেন, লাগেজটি খুঁজে বের করবেন এবং কাস্টমসে চলে যাবেন। কাস্টমস খুবই সহজ, ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। সেখানে স্ক্যানিং মেশিনে আপনার লাগেজ, কেবিন ব্যাগ দিয়ে দেবে। কাস্টমস হয়ে যাবে। এরপর একটা ট্রলিতে আপনার লাগেজটা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ প্লাজায় গিয়ে সেই ট্রলি থেকে আপনার লাগেজটি আপনি সংগ্রহ করবেন।
বাংলাদেশ প্লাজায় করণীয়
যখন বাংলাদেশ প্লাজায় চলে আসবেন এখানে পর্যাপ্ত টয়লেট, বাথরুম (দুটিই পৃথক), অজুর জায়গা এবং মসজিদ রয়েছে। সুতরাং সফরের নামাজটা এখানে আদায় করবেন। চেষ্টা করবেন সব নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করতে। বাংলাদেশ প্লাজায় যতক্ষণ থাকবেন, বুঝতে হবে আপনি কিন্তু এহরামের ভেতর আছেন, আপনার মুখের তখন একটাই ভাষা হবে, সেটি হলো তালবিয়া। যত বেশি পারবেন তালবিয়া পড়বেন এবং যখনই পড়বেন তিনবার করে পড়বেন। এখানে বিশ্রাম, খাওয়া-দাওয়া করবেন এবং অন্য সফরসঙ্গীদের সঙ্গে পরিচিত হবেন। আর একসঙ্গে সবাই মিলে তালবিয়া পড়তে থাকবেন। এখানে আপনার যখন আর কোনো কাজ থাকবে না, আপনার হজ এজেন্সি আপনার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করবে। এরপর আপনাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে বাসে ওঠাবে। অবশ্যই ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়াতে হবে। কারণ যখন লাইনে দাঁড়াবেন, তখন বারবার গণনা করা হবে সুতরাং ধৈর্যচ্যুতি ঘটাবেন না। বাস এলে উঠে যাবেন এবং খেয়াল রাখবেন আপনি যে বাসে উঠছেন সেখানে আপনার লাগেজটি উঠছে কি না। আর কেবিন ব্যাগটি সব সময় আপনার সঙ্গে থাকবে। কেবিন ব্যাগে অবশ্যই এহরামের আরেকটি সেট কাপড় রাখবেন, কিছু টয়লেট টিস্যু রাখবেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখবেন।
মক্কায় পৌঁছানোর পর
বাস সোজা আপনাকে মক্কায় নিয়ে যাবে। বাসে বসার পর তালবিয়া পড়বেন। মক্কায় যাওয়ার পথে এই বাসটি হজ এবং মুয়াল্লিম অফিসে থামবে। মুয়াল্লিম আপনাদের সালাম দেবেন, কিছু উপঢৌকন দেবেন, জমজমের পানি খাওয়াবেন। এরপর বাসটি মক্কায় আপনার হোটেলের সামনে থামবে এবং লাগেজ নিয়ে আপনারা আপনাদের রুমে চলে যাবেন। রুমে যাওয়ার পর আপনার কাজ হবে বিশ্রাম নেওয়া এবং আপনার যে গাইড আছেন, তাঁর ওপর আনুগত্য করা। উনি ভালো করে জানেন কোন সময়টাতে উমরা করালে আপনার সময় কম লাগবে এবং কোনো অসুবিধা হবে না। দয়া করে ধৈর্য ধারণ করতেই হবে।
বর্জনীয় কাজ
হজের সফর অত্যন্ত কষ্টের এবং ধৈর্যের। সুতরাং এই কাজগুলো করবেন না— রাগান্বিত হওয়া যাবে না, বিরক্ত হওয়া যাবে না এবং কোনো ধরনের অভিযোগ দেওয়া থেকে নিজেকে সংযত রাখবেন। এটাই হলো মক্কায় পৌঁছানো পর্যন্ত কাজ। ইনশাল্লাহ পরবর্তী পর্যায়ে কীভাবে আপনার উমরা সম্পন্ন করবেন তাওয়াফ, সায়ী ইত্যাদি বিভিন্ন অংশে এগুলো আমরা আলোচনা করব।