আপনার জিজ্ঞাসা
শুধু ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলে জিকির নিষেধ? কেন?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৪৯৬পর্বে শুধু ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলে জিকির করা নিষেধ কেন, সে সম্পর্কে ছাতক থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন জাহাঙ্গীর রুদ্রী। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : ‘আল্লাহ আল্লাহ’ জিকির করা নিষেধ কেন?
উত্তর : ‘আল্লাহ আল্লাহ’ মানে ‘লাফজুল জালালা’ জিকির নিয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। তবে রাসুল (সা.) অথবা তাঁর সাহাবিদের কোনো আমল অথবা তাবেয়িদের কোনো আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত হয়নি যে, তাঁরা এভাবে জিকির করেছেন। কারণ জিকিরের বিষয়গুলো রাসুল (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। ‘সুবহান আল্লাহ’ ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর’ ইত্যাদি। সেগুলোর দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে।
‘লাফজুল জালালা’ এর মধ্যে শুধু আল্লাহ সুবানাহু তায়ালার নাম রয়েছে। এর মধ্যে না রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বড়ত্বের বিষয়, না আছে আল্লাহর প্রশংসা, না আছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পবিত্রতার কথা। জিকিরের জন্য এই তিনটি বিষয়কে শর্ত হিসেবে মানা হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শ্রেষ্ঠত্ব, বড়ত্বের বিষয় থাকতে হবে, পবিত্রতার বিষয় থাকতে হবে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সানা; আলহামদুলিল্লাহ, প্রশংসার বিষয়টিও থাকতে হবে। যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এই বিষয়গুলো না থাকে, শুধু আল্লাহ, লাফজুল জালালার জিকির সালাফদের আমল দ্বারা, এমনকি রাসুল (সা.)-এর আমল দ্বারাও সাব্যস্ত হয়নি। সুতরাং যেই কাজটি নবী (সা.) করেননি, সেই কাজটি দ্বিনের মধ্যে ইবাদত হিসেবে পালন করার কোনো সুযোগ ইসলামের মধ্যে নেই। যেহেতু কোনো কাজকে ইবাদত হতে হলে অবশ্যই নবীকে (সা.) করতে হবে অথবা নবীকে (সা.) করতে বলতে হবে অথবা এর জন্য সুস্পষ্ট দলিল থাকতে হবে। কিন্তু এর জন্য কোনোটাই পাওয়া যায়নি।