আপনার জিজ্ঞাসা
শ্বশুরের অসম্মতিতে দুলাভাই শ্যালিকার বিয়ে দিতে পারবেন কি?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৪৯৪তম পর্বে শ্বশুরের অসম্মতিতে দুলাভাই অভিভাবক হয়ে শ্যালিকার বিয়ে দিতে পারবে কি না, সে সম্পর্কে মাগুরা থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন মনিরা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : কোনো ছেলেমেয়ে একে অপরকে পছন্দ করে। মেয়ের বাবা এবং ভাই রাজি নেই। কিন্তু মেয়ের মা, দুলাভাইসহ অন্য সবাই রাজি। সে ক্ষেত্রে মেয়ের দুলাভাই অভিভাবক হয়ে ওই মেয়েকে বিয়ে দিতে পারবে কি?
উত্তর : আসল কথা হচ্ছে, এখানে অভিভাবক বা ওলি যিনি ছিলেন, অর্থাৎ বাবা, তিনি রাজি ছিলেন না। সুতরাং এই বিয়ে শুদ্ধ হয়নি। তাঁদের করণীয় হচ্ছে, এটাকে সংশোধন করে নিতে হবে। বাবার অনুমতি সাপেক্ষে এটাকে সংশোধন করতে হবে।
তাঁদের ওপর ওয়াজিব হচ্ছে, সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন থাকবে। বাবার সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন করা যেতে পারে। বাবা যদি একেবারেই রাজি না হয়, তাহলে তাঁরা আদালতের আশ্রয় নেবেন। আদালত থেকে অনুমতি নিলে তাঁদের এই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। বাবার অভিভাবকত্ব সেখানে হারিয়ে যাবে।
আদালত হচ্ছে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। সুতরাং আদালত যখন হস্তক্ষেপ করবে, তখন বাবার যে অভিভাবকত্ব আছে, সেটি আর কার্যকর থাকবে না।
বাবাকে রাজি করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। বাবা যদি একেবারেই রাজি না হন, গোঁড়ামি করেন, তাহলে এই পদক্ষেপ নিতে হবে।
আসলে গোঁড়ামি করার বিষয় নয় এটা। বিয়ের ব্যাপারে গোঁড়ামি করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি ছেলেমেয়ের পরস্পর সমঝোতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে বাবার উচিত নয় বাধা দেওয়া এবং সীমালঙ্ঘন করা। এটি একেবারেই নাজায়েজ ও হারাম কাজ তাঁদের জন্য।