ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ডাকসু নির্বাচন বন্ধ কার স্বার্থে?
ডাকসু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। এই সংসদের মাধ্যমে নির্বাচিত হন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় দেখভালের। তা সে শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই হোক আর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা পদ্ধতির স্বচ্ছতাই হোক। নিয়মমতো এই সংসদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবার কথা থাকলেও শেষ অবধি তা দেশ-জাতির প্রয়োজনেই ছাড়িয়েছে তার সীমা। দায়িত্ব নিয়েছে দেশ ও দেশের মানুষের ভালো থাকবার দাবি বাস্তবায়নের নেতৃত্ব দেওয়ার। দেশের অগ্রসর মানুষদের একটি আলোকিত অংশ হওয়ার সুবাদে সেই দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র হওয়ার প্রক্রিয়া সেই স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা দীর্ঘ পথপরিক্রমায় শামিল হতে। যা এই বঙ্গের মানুষদেরকে দিয়েছে বাহান্ন, দিয়েছে ঊনসত্তর, দিয়েছে একাত্তর। শুধু কি স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা। না তা নয়। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাঙালি শাষকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেওয়া অপশাসনকেও রুখে দিতে অগ্রবর্তী সেনানির ভূমিকা রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তথা তাদের নেতৃত্বকাঠামো ডাকসু। জন্ম দিয়েছে নব্বই। যা কি না প্রায় দুই দশক ধরে নানাভাবে এ দেশের মানুষের ওপর চেপে থাকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উর্দি শাসন উৎখাতেরই মাইলফলক হয়ে আছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সেই নব্বইয়ের পর মাত্র একটিবার ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও গেল দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তা আর হতে দেওয়া হচ্ছে না।
দেশের ক্ষমতাকাঠামোর নিয়ন্ত্রক শাসক শ্রেণির প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগী ছাত্রসংগঠনগুলো বিশেষ করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল এই নির্বাচন অনুষ্ঠান চাইলেও যে যারমতো করে নিশ্চিত করতে চাইছে নিজেদের বিজয়। তাই বলাই বাহুল্য যে, যেসব কারণে ডাকসু নির্বাচন তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাখা হয়েছে তার মধ্যে এটি একটি অন্যতম প্রধান কারণ। এ ছাড়া শাসক শ্রেণির প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগেুলোও চায় না সমাজের অগ্রসর অংশ ছাত্রসমাজের সামষ্টিক নেতৃত্ব গড়ে উঠুক। যা কি না তাদের কায়েমি স্বার্থ সিদ্ধির যাবতীয় আয়োজনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার পেছনে অন্য আরেকটি যে ফ্যাক্টর সক্রিয় সেটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। যারা কি না বছরের পর বছর ধরে আঁকড়ে ধরে আছেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রর, ট্রেজারারের মতো প্রশাসনিক সব পদ। ডাকসু নির্বাচন না হলেও এসব পদ ঠিক রাখতে হচ্ছে নির্বাচন। যদিও তা বেশির ভাগ সময়েই হচ্ছে একতরফা। কিংবা পরিষ্কার করে বললে বলতে হয়, যাঁরা এসব পদে নির্বাচিত বা মনোনীত হচ্ছেন, তাঁরা সবাই কোনো না কোনোভাবে সরকারি দলের অনুগত। নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকে সংহত রাখতে অনেকটা আনুষ্ঠানিক হলেও করছেন নির্বাচন অনুষ্ঠান। এমনি একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো গেল ২৯ জুলাই ২০১৭ তারিখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে নিজেদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগের দাবিতে সোচ্চার হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সে সময় ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠান আন্দোলনের আহ্বায়ক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহাদি যথার্থই বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চলার পেছনে অন্যতম বড় অংশীজন হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ থাকায় সিনেটে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ গবেষণার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়, সেখানে প্রায় ৮২ শতাংশ বরাদ্দ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন খাতে।’ কিন্তু ডাকসু কার্যকর থাকলে এই অন্যায্যতা সম্ভব হতো না বলেও মন্তব্য করেন মাহাদি।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই উচ্চারণে বাদ সাধেন খোদ শিক্ষকরা! শুধু বাদ সেধেই ক্ষান্ত থাকেননি রাজনৈতিক দলের অনুগত সেই শিক্ষকরা। হাতাহাতিতেও লিপ্ত হয়েছেন তাঁদেরই সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। ২৭ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠান বন্ধ করে রাখায় সিনেটে এই মুহূর্তে নেই কোনো শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। থাকবেই বা কী করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ তো বন্ধ হয়ে গেছে সেই নব্বইয়ের শুরুতেই।
স্বৈরাচারী শাসকের পতনের মধ্য দিয়ে দেশের সামগ্রিক রাজনীতিতে দুটি পরিবর্তন সাধিত হয় সে সময়। যার একটি শাসকশ্রেণির জন্য ইতিবাচক হয়। অন্যটি দেশের আপামর মানুষের জন্য নেতিবাচক। ইতিবাচকটি হচ্ছে শাসনতান্ত্রিক রাজনীতির পথটা মসৃণ করতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য। আর নেতিবাচকটি হচ্ছে দেশের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করার সংগ্রামের পথপদ্ধতির দুর্বৃত্তায়নের পরিপক্ব অগ্রযাত্রা। যা শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে। দেশ ও দশের স্বার্থরক্ষার এই রাজনৈতিক চর্চাকে কলুষিত করার আনুষ্ঠানিক সূচনাটা হয় পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের শুরু থেকেই। এই পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যে শুধু দেশ ও দেশের মানুষের কাধে প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারনির্ভর এক অপশাসনই চেপে বসে তাই নয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় একটি জাতিরাষ্ট্র হয়ে ওঠার সুস্থ সব প্রক্রিয়া। রাষ্ট্র ও সমাজের সকল কাঠামোকে করে ফেলা হয় দুর্নীতিগ্রস্ত। রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনার সকল কাঠামোগুলোর নেতৃত্বকে করা হয় কেন্দ্রীভূত। যার ফলে যে প্রক্রিয়াটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হচ্ছে সংগঠন ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব গড়ে ওঠার যথাযথ পথ ও পদ্ধতিটি। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে দেশের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলনের মতো সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে চলার পথপ্রক্রিয়ায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বন্ধ হয়ে যায় এসব সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ।
পুঁজিতান্ত্রিক শাসনকাঠামো সংহত রাখার দায়িত্বে যাঁরা নিয়োজিত, তাঁরা নিজ ক্ষমতাকাঠামোকে সংহত রেখেই বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেন বাদবাকি পরিকাঠামোকে বেড়ে ওঠার। তাই তো আমরা দেখি শাসনক্ষমতায় থেকেও শাসকেরা স্থানীয় সরকারের মতো পরিকাঠামোর নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ দেন, তখনই যখন তাঁরা মনে করেন তাঁদের ক্ষমতাকাঠামো যথেষ্ট সংহত এবং তাঁদের জয়ী হওয়ার অনুকূলে। শুধু স্থানীয় সরকারেই নয়, অনেক সময়েই কেন্দ্রীয় শাসনকাঠামোতেও নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করার যাবতীয় কলাকৌশল নিজেদের পক্ষে রাখতে মরিয়া থাকেন।
এমন একটি জনবিরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক স্বার্থভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ বিকাশের সকল সুষ্ঠু পথপদ্ধতি যে রুদ্ধ করে রাখা হবে, সেটাই স্বাভাবিক নয় কি। তাই আমার কাছে গেল দুই দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ তথা ডাকসু নির্বাচন না হওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক ঠেকে না।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচনের বিধান থাকলেও ১৯৮৯ ও ৯০ সালেই কেবল নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় সবশেষ নির্বাচনটি হয় ১৯৯০ সালের ৬ জুন। ওই নির্বাচনে তখনকার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আমান উল্লাহ আমান ও খায়রুল কবীর খোকন (আমান-খোকন) পরিষদ জয়লাভ করে। এরশাদ সরকারের আমলে ডাকসু নির্বাচন হলেও ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে একবারের জন্যও অনুষ্ঠিত হয়নি ডাকসু নির্বাচন।
দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য খোদ রাষ্ট্রপতি নিজেও এক বক্তৃতায় বলেছেন, এখনই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তনে এসে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মো. আবদুল হামিদ স্পষ্ট করেই বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন ইজ আ মাস্ট (হতেই হবে)। নির্বাচন না হলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে শূন্যতার সৃষ্টি হবে।’ শুধু রাষ্ট্রপতিই নন, ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠান চাইছেন ক্ষমতাকাঠামোর নেতৃত্বে থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও। সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগও চাইছে শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত নেতৃত্ব ফিরে আসুক। ক্ষমতাকাঠামোর বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সোচ্চার। কিন্তু তাদের অন্যতম একটি শর্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। হলগুলোতে থাকতে হবে সকল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগী ছাত্র সংগঠনগুলোও একই দাবি করছে। বাদ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী এমনকি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও। এরা সবাই বলছেন, ডাকসু হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির কারখানা। এই কারখানা সচল নেই বলেই রাজনীতিতে ঢুকছে অপশক্তি, ঢুকছে ব্যবসায়ীরা, ঢুকছে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক আমলারা। যারা কিনা শ্রেণিবৈশিষ্ট্যের কারণেই রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ও পরিকাঠামোকে দুর্বৃত্তায়িত করার মাধ্যমে নিজ স্বার্থ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকে। আর তাই নিশ্চিত করেই বলা যায়, স্পষ্টত এই কারণেই শাসক শ্রেণির প্রতিনিধি ও সুবিধাভোগীরা বন্ধ করে রেখেছে ছাত্র সংসদ ও ট্রেড ইউনিয়নের মতো আর্থসামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্যকে প্রণিধানযোগ্য মনে হওয়ায় সেটাই উদ্ধৃত করছি। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, সরকার চায় না বলেই ডাকসু নির্বাচন হয় না। সরকার ভাবে, ডাকসু হলে ছাত্রদের মতামত তাদের পক্ষে নাও যেতে পারে। আরেকটা সমস্যা হলো, এ নির্বাচনটাকে অনেক বেশি ফোকাস করা হয়। এটাকে সরকারের জনপ্রিয়তার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়। ফলে সরকার চায় না, তাদের জনপ্রিয়তার ভাটা প্রকাশ্যে আসুক। ফলে তারা নির্বাচন দেয় না। আর নির্বাচন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে সেভাবে ভাবে না। যখন বিষয়টি আলোচনায় আসে, তখন শুধু এটি নিয়ে কথা হয়।’
এমন একটি যৌক্তিক উপলব্ধিজাত ধারণা বিরাজমান থাকার পরও কেন অনুষ্ঠান করা যাচ্ছে না ডাকসুসহ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্রসংসদ নির্বাচন? অনুষ্ঠান করতে না পারার পেছনের কারণগুলোই বা কী? এ ক্ষেত্রে আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও শিক্ষকসমাজকে প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় কাঠামো এবং শিক্ষার্থীদের অবস্থানকে পরিকাঠামো হিসেবে বিবেচনা করি তাহলে এই ‘কেন’ ও ‘কারণ’ খুঁজে বের করবার কাজটি অনেকটাই সহজ হবে বলেই মনে হয়।
লেখক : সংবাদকর্মী