চিয়ার আপ গিয়ার আপ দ্য টেস্ট
রেসিপি পাঠিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের সুযোগ পেলেন ১০ জন
প্রয়োজনে বা শখের বশে অনেকেই রান্না করে থাকেন। কিন্তু সেটা সীমিত থাকে বাড়ির মধ্যেই। কিন্তু যদি সবার সঙ্গে রান্নার আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়? গত সেপ্টেম্বরে প্রাণ-আরএফএল শুরু করেছিল রেসিপি প্রতিযোগিতা ‘চিয়ার আপ গিয়ার আপ দ্য টেস্ট’। এই আয়োজনে সঙ্গী হয়েছিল এনটিভি অনলাইন ও সায়মন বিচ রিসোর্ট।
আজ রোববার রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ-আরএফএল কার্যালয়ে বিজয়ী ১০ জন ও তাঁদের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। পুরস্কার বিতরণ করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হেড অব ডিজিটাল মিডিয়া আজিম হোসেন, সায়মন বিচ রিসোর্টের হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মোহাম্মদ ইমরান হুমায়ুন খান ও হেড অব এনটিভি অনলাইন খন্দকার ফকরউদ্দীন আহমেদ। এ সময় প্রাণ-আরএফএল, সায়মন বিচ রিসোর্ট ও এনটিভি অনলাইনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হেড অব ডিজিটাল মিডিয়া আজিম হোসেন বলেন, ‘আমরা মাত্র শুরু করেছি। এ ধরনের প্রতিযোগিতা সামনে অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই দিন দিন আরো বেশি ব্যবহারকারী আমাদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সংযুক্ত থাকুক। এনটিভির মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার রেসিপিগুলো প্রায় এক কোটি পাঠকের কাছে পৌঁছেছে। প্রতিযোগিতার রেসিপিগুলোতে ভোট দেওয়ার জন্য একজন ব্যবহারকারী একটি ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে পেরেছেন। গিয়ার আপ-এর ফেসবুক পেজ থেকেও নিয়মিত আপডেট দেওয়া হয়েছে প্রতিযোগিতার।’
হেড অব এনটিভি অনলাইন খন্দকার ফকরউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা এনটিভিবিডি ডটকম পোর্টালটিকে শুধু খবর পড়ার একটি পোর্টাল করতে চাইনি। আমরা পোর্টালটিকে সব ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে চেয়েছি, যাতে একজন পাঠক সব সময় আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। এ নিয়ে আমরা এ ধরনের ১১টি প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছি। প্রাণ-আরএফএলের সঙ্গে এটি আমাদের তৃতীয় প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন খবর আমাদের পোর্টালের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি পাঠকের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা দেখেছি ভোটিংয়ের সময়ও পাঠকরা দারুণভাবে অংশ নিয়েছেন। যাঁরা জয়ী হয়েছেন তাঁরা হাড্ডাহাড্ডি ভোটের লড়াইয়ের মাধ্যমে জয়ী হয়েছেন।’
অ্যাসিস্টেন্ট ব্র্যান্ড ম্যানেজার (এসএমসিএল) সালেকিন ইমাম বলেন, ‘২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে গিয়ার আপ বেভারেজ। লেমন ফ্লেভারের এই বেভারেজটি এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা প্রতি মাসেই গিয়ার আপ থেকে এ ধরনের আয়োজন করে থাকি। সামনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।’
সায়মন বিচ রিসোর্টের হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মোহাম্মদ ইমরান হুমায়ুন খান বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনের সঙ্গে এবারই আমরা প্রথম জড়িত হলাম। আগামীতে আমরা এ রকম আরো প্রতিযোগিতার সঙ্গে থাকব। তিনদিন ও দুই রাত বিজয়ীরা আমাদের হোটেলের ডিলাক্স রুমে থাকার সুযোগ পাবেন। তাঁদের আসা-যাওয়ার বাস টিকেটও আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরস্কার বিজয়ীরা এই অফারটি উপভোগ করতে পারবেন।’
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিস্টেন্ট ব্র্যান্ড ম্যানেজার (এসএমসিএল) সালেকিন ইমাম, সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সজীব দেবনাথ অরিন্দম। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রাণ-আরএফএলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার নাজমুল হোসেন হিমেল।
এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজার (মার্কেটিং) তানভীর আহমেদ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং) তানজানিয়া ফেরদৌসী দিশা, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং) আবু নাসিম, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মোরশেদুল আরেফিন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং) আতিকুর রহমান।
গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় এই ‘চিয়ার আপ গিয়ার আপ দ্য টেস্ট’ প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা এনটিভি অনলাইনে প্রকাশিত রেসিপির ভিডিও দেখেন। এরপর নিজের মতো করে যেকোনো একটি রেসিপি তৈরি করে ছবি তুলে ছবিসহ রেসিপিটি ৫০০ শব্দের মধ্যে লিখে পাঠান।
১০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল রেসিপি জমা দেওয়ার সময়। এই সময়সীমার মধ্যে ৫২০টি রেসিপি জমা পড়ে। এর মধ্যে থেকে ৪০টি রেসিপি বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত রেসিপিগুলো এনটিভি অনলাইনে প্রকাশ করা হয় পাঠকদের ভোট দেওয়ার জন্য। পাঠক-ভোট ও বিচারকদের দেওয়া নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিযোগিতার সেরা ১০টি রেসিপি নির্বাচন করা হয়। গত ২২ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রতিযোগিতাটি চলে টানা ৩৭ দিন।
পাঠক-ভোট ও বিচারকদের রায়ে প্রতিযোগিতার সেরা ১০ প্রতিযোগী ও তাঁদের রেসিপিগুলো হলো খাদিজা হোসাইন (বিফ সিজলিং), সালেহিন সিদ্দিক (গরুর ভুঁড়ি ভুনা), মনোয়ার হোসাইন (মাটন চপ), হাসনাত জাহান (ইলিশ চিজ বল), জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই (চিজ বিফ চপ), মো. জাহিদ হোসেন (ক্রিপাইন কাবাব), তন্নী আক্তার (গরুর মাংসের টমেটো স্টু), সাইমা সালাম (স্পাইসি চিজ বিফ নাগেটস), শারমিন আক্তার (স্পাইসি চপড বিফ উইথ টাকোস অ্যান্ড সালাদ), মো. নীর হোসাইন (বিফ টিকিয়া কাবাব)।
প্রতিযোগিতার সেরা ১০ রেসিপিদাতার প্রত্যেকে পাচ্ছেন একজন সঙ্গীসহ ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা যাওয়া-আসার টিকেট ও সায়মন বিচ রিসোর্টে তিন দিন ও দুই রাত থাকার সুযোগ।