টেকো যারা, সফল তারা?
অ্যামাজন ডট কমের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা জেফ বিজোস, যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস এক্সিকিউটিভ কেনেথ ফ্রেইজার, সফল বিজনেসম্যান স্টিভ ব্যালমার—এদের সবার মধ্যেই একধরনের মিল আছে। সেটি কী বলুন তো? তাঁরা সবাই সফল ও টেকো মাথার লোক।
কাকতালীয় মনে হচ্ছে? হয়তো না। ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার এক গবেষণায় দেখা গেছে, টেকো মাথার লোকেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি সফল ও প্রভাবশালী হন। বিজনেস ইনসাইডারে প্রকাশ হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী অ্যাবার্ট ই ম্যানেস ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন ঘরানার নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের ওপর গবেষণা করে এই তথ্য পান। এখানে তিনি দেখেছেন, টেকো মাথার লোকদের সঙ্গে অন্যান্য লোকেরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। ধারাবাহিক ছবির মাধ্যমে তিনি এটি করেন।
অ্যাবার্ট যেটি করেন, তা হলো—তিনি সবাইকে দুটো করে ছবি দেখিয়েছেন। একটি মাথাভরা চুলের, অন্যটি টেকো মাথাওয়ালাদের। দেখা গেছে, এই ছবি দেখে অধিকাংশ মানুষই টাক মাথাওয়ালা ছবিটিকে বেশি প্রভাবশালী এবং সফল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
তবে একটি বিষয়, যাঁদের মাথায় চুলের চিহ্নমাত্র নেই, তাঁদেরই কিন্তু ক্ষমতা এবং সাফল্যের পাল্লায় উঁচু দর। আধা টাক বা মাথায় চুল কমে হালকা দশা, এমন লোকেরা আবার এই গবেষণায় দুর্বল এবং কম আকর্ষণীয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।
টেকো মাথার লোকদের স্রেফ প্রভাবশালী নয়, বুদ্ধিমানও মনে হয়। ইউনিভার্সিটি অব সারল্যান্ডের সাইকোলজিস্ট রোনাল্ড হেনসের করা আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, টেকো মাথার লোকদের একটু বয়স্ক দেখায়। তবে এটি সত্ত্বেও তাঁদের জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান মনে হয়।