শহরে মৌমাছিদের নাচানাচি
মৌমাছি মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি? মৌমাছিদের নাচার জন্য মানে চলাচলের জন্য ভাবা হচ্ছে আলাদা পথের কথা। এই ব্যতিক্রমী ভাবনাটি ভেবেছে নরওয়ের রাজধানী অসলোর একটি পরিবেশবাদী সংগঠন বাইবি (Bybi)। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। এরইমধ্যে মৌমাছিদের জন্য আলাদা যত্ন-আত্তি করার আয়োজন শুরু করেছেন তাঁরা। আর এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মৌমাছি মহাসড়ক’। এই প্রকল্প কেন করা হলো, আর কীভাবে এর বাস্তবায়ন হবে, সেটাই আলাপ করব নিচে।
বিপন্নপ্রায় মৌমাছিদের বাঁচাতে এই উদ্যোগ। পুরো অসলো শহরেই বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ব্যালকনি, দেয়ালে মৌমাছির জন্য ফুলের গাছ লাগানো হবে। যেখানে তারা মধু সংগ্রহ করতে পারবে এবং মজার বিষয় হলো মৌমাছিদের বিশ্রামের জন্যও ব্যবস্থা রাখা হবে। থাকবে তাদের জন্য নিরাপদ আবাস। এ খবর জানিয়েছে দ্য ভার্জ এবং দ্য গার্ডিয়ান।
বাইবি এ কাজ করছে শহরে প্রজাপতিদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং তাদের ভালো রাখার জন্য। আর এই কাজের জন্য স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তহবিল সংগ্রহ করছে তারা। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান মৌমাছিদের ঘর তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে, কেউ বড় ছাদ ছেড়ে দিয়েছে ফুলের গাছ লাগানোর জন্য।
এই কর্মসূচিটা অনেকটা প্রজাপতি মহাসড়কের (বাটারফ্লাই প্রজেক্ট) মতো, যা গত বছর হোয়াইট হাউস ঘোষণা দিয়েছিল। প্রজাপতিদের রক্ষা এবং বংশবৃদ্ধি করার জন্য মিনেসোটা থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত দেড় হাজার মাইলের বিস্তীর্ণ করিডর নিয়ে প্রজাপতি বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে হোয়াইট হাউস।
২০০৬ সালের পর থেকেই আশঙ্কাজনক হারে পৃথিবীতে মৌমাছির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ২০১২ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মৌমাছির সংখ্যা ৩১% হ্রাস পেয়েছে। গবেষকরা বলছেন, কীটনাশকের ব্যবহার এবং রোগের কারণেই মৌমাছিদের কলোনিগুলো ভেঙে গিয়ে তারা বিলুপ্তপ্রায় অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এখনই যদি মৌমাছিদের বাঁচাতে ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে হয়তো খুব শিগগিরই এরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।