ডিসফাংশনাল ইউটারাইন ব্লিডিংয়ে কী ধরনের জটিলতা হয়?
ডিসফাংশনাল ইউটারাইন ব্লিডিংয়ের চিকিৎসা না হলে অনেক সময় রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে। নারীর শরীরে রক্ত ভাঙতে ভাঙতে একপর্যায়ে জটিল অবস্থা হয়।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৮৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নাঈমা শারমিন হক। বর্তমানে তিনি শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি ও ধাত্রী বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা না হলে কী ধরনের ঝুঁকি থাকে?
উত্তর : চিকিৎসা ঠিকমতো না করা হলে রক্ত যেতে থাকবে। আবার রক্তশূন্যতাও দেখা দেবে। রক্তশূন্যতার ঝুঁকি চলে আসবে। বুক ধরফর করবে, রোগী দুর্বল হয়ে পড়বে। তার কাজ করতে সমস্যা হবে। ফলে সে চিকিৎসকের কাছে যাবে। এসব জটিলতার কারণে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। চিকিৎসককে তখন হিস্টেরোকটোমিতে চলে যেতে হবে। এটা রোগীর জীবন বাঁচাবে।
প্রশ্ন : জটিল রক্তস্বল্পতা হয়ে গেলে তো মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে?
উত্তর : রক্তশূন্যতার কারণে অনেক সময় হার্ট ফেইলিউর হয়। তখন হয়তো হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার সময়টুকু নাও থাকতে পারে।
প্রশ্ন : এই জাতীয় সমস্যাগুলো যেন আগেই আমরা ধরতে পারি, সে জন্য পরামর্শ কী হবে?
উত্তর : আসলে এখানে পরামর্শ হবে, লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আমরা প্রতিটি মানুষ জানি মেয়েদের প্রতি মাসে মাসে মাসিক হয়। এটিই স্বাভাবিক, এটি প্রকৃতির নিয়ম। কোনো কিছু না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। পরে এটা বন্ধ হয়ে যাবে এটাও স্বাভাবিক। তবে যেই বয়সে মাসিক হওয়ার কথা ১৫ থেকে ৪৫ কিংবা ৫০, এই বয়সে যদি কারো অনিয়মিত মাসিক হয়, অথবা যদি তার অতিরিক্ত রক্তপাত হয়, কিংবা যদি এমন হয় তার রক্তপাত হচ্ছে, অনেক বড় বড় চাকা যাচ্ছে, দলা দলা রক্ত যাচ্ছে, তাহলে অবশ্যই ঘরে বসে না থেকে ঘরের মানুষগুলোর সাথে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য তার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত এবং কারণ খুঁজে বের করা উচিত।