সিজোফ্রেনিয়া হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত?
মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়ায় অনেকে অপচিকিৎসকের কাছে যান। তবে এই রোগে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৫২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. সালাহ উদ্দিন কাউসার বিপ্লব। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের ইউনিট প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : সিজোফ্রেনিয়া হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত?
উত্তর : এটা খুব সহজ কথা যে যত তাড়াতাড়ি যাবেন, যত তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করতে পারবেন, যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন, তত ভালো। অনেক সময় ঝাড়ফুঁক, কবিরাজ বা অপচিকিৎসকের কাছে অনেকে চলে যান।
ঝাঁড়ফুক অবশ্যই অপচিকিৎসা, অবশ্যই এগুলো করা উচিত নয়। তো, এই বিষয়গুলো আমাদের বোঝা উচিত। যাঁরা ঝাড়ফুঁক করান বা কবিরাজের কাছে যান, তাঁরাও কিন্তু জানেন শেষ পর্যন্ত যে চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে। তখনো তাঁরা বিশ্বাস করতে চান না। চিকিৎসা ছাড়া এর আর কোনো উপায় নেই।
প্রশ্ন : চিকিৎসার সময় জীবনযাপনের পরিবর্তনের সময় কী ধরনের পরামর্শ দেন?
উত্তর : সত্যি বলতে, জীবনযাপনের পরিবর্তন বা সাইকোথেরাপির খুব বেশি ভূমিকা এখানে নেই। তবে যেহেতু অসুস্থ মানুষটি মনে করে সে অসুস্থ নয়, সুতরাং দায়িত্বটা অনেক সময় তার পরিবারের ওপর পড়ে। মা-বাবা, ভাইবোন যেই হোন না কেন, তাদের ওপর পড়ে।
এই রোগীর দায়দায়িত্ব আসলে আত্মীয়স্বজনকে নিতে হবে। তবে ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যেসব ওষুধ বাজারে আছে, সেগুলোতে ঘুমের উপাদান আছে। তবে বর্তমানে বেশ কিছু ওষুধ আছে, যেগুলোর ঘুমের উপাদান একেবারেই কম। এরপরও কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বাইরেও এটা জরুরি যে একজন মানুষকে মোটামুটি সুস্থ রাখা।