জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্ণয়ে যেসব পরীক্ষা করা হয়
জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। একে স্ক্রিনিং বলা হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৬২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রকিব উদ্দীন আহম্মেদ।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : জরায়ুমুখের ক্যানসারের স্ক্রিনিং কীভাবে করা হয়?
উত্তর : খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি বলেছেন। জরায়ুমুখের স্ক্রিনিং বাংলাদেশে একদম প্রান্তিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এই স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এ সুযোগগুলো যেহেতু উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত, তাই এগুলো আমরা খুব সহজেই নিতে পারি। তাদের স্ক্রিনিং পরীক্ষা, যেটি আমরা সাধারণত করি, একে বলে প্যাপ টেস্ট। আরো একটি পরীক্ষা, যেটি বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়, সেটি হলো ভায়া টেস্ট। প্রতিটি উপজেলায় ভায়া করার জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠীও রয়েছে। এটি খুব সাধারণ, খরচবিহীন একটি পরীক্ষা। আমরা শুরু থেকেই যদি স্ক্রিনিংয়ে যেতে পারি, তাহলে শুরুতেই রোগ নির্ণয় করতে পারব। আমরা যদি এই জায়গাটায় বেশি জোর দিই, স্ক্রিনিংয়ে জোর দিই, তাহলে বলা যেতে পারে খুব ভালো হয়। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া যায়।
প্রশ্ন : কোন বয়সে কত দিন পর পর স্ক্রিনিংয়ের জন্য যাওয়া উচিত?
উত্তর : মেয়েদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা স্ক্রিনিং প্রোগ্রামে যেতে পারি। সাধারণত দুই বছর পর থেকে স্ক্রিনিং করতে পারি। ৩০ বছর পর্যন্ত যদি পর পর তিনটি নেগেটিভ হয়ে থাকে, তখন আমরা একে আরো বাড়িয়ে তিন বছর পর করি। আর একেবারে যদি ৭০ বছর বয়স হয়ে যায়, এরপর আর স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না। অর্থাৎ আমরা ২১ থেকে ৭০ পর্যন্ত স্ক্রিনিংয়ে যেতে পারি।