যেকোনো রোগ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে রোগের জটিলতা অনেকটাই কমে। প্রাথমিক অবস্থায় কিডনির সমস্যা ধরা পড়লে রোগ বাড়ার যে ক্রমবর্ধমান প্রক্রিয়া, সেটি ধীরগতির হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯১৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম।

বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : প্রাথমিক পর্যায়ে যদি আমরা বুঝতে পারি কিডনির সমস্যা হয়েছে, তাহলে লাভ কী?

উত্তর : যদিও বলা হয়, ক্রনিক কিডনি রোগ একটি প্রগ্রেসিভ রোগ বা ক্রমবর্ধমান একটি রোগ, তবুও খুব প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে আমরা প্রক্রিয়াটাকে ধীরগতির করতে পারি। তার খাবার-দাবার নিয়ন্ত্রণ, তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এগুলো করতে পারি।

আর নেফ্রাইটিসজনিত কিডনি রোগ যদি হয়, তাহলে নেফ্রাইটিসের কিছু ওষুধ রয়েছে, যেগুলো দিলে জাদুর মতো কিডনি ভালো হয়ে যায়।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কিছু কিছু পর্যায়ে আগে থেকে জানতে পারলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। এ জন্য প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় হওয়া খুবই জরুরি, অন্তত আমাদের দেশে। কারণ, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। এটি যদি প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে সবচেয়ে ভালো।