স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। সচেতনতার জন্য ২০ বছর পর থেকে পরীক্ষা করা জরুরি। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৭৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। বর্তমানে তিনি জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটে ক্যানসার ইপিডেমিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : প্রতিরোধগুলো কী।

উত্তর : যাদের কেবল পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তারা নয়, একটি বয়সে গিয়ে ২০ বছর বয়স থেকে প্রত্যেক নারী মাসে একবার নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করবেন। প্রতি মাসে একবার ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর একটি দিন নির্ধারণ করে নেবেন। ওই মাসে ডান হাত দিয়ে বাম স্তন পরীক্ষা করবেন এবং বোগল পরীক্ষা করবেন। গ্রন্থি থাকে কিছু, সেগুলো আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। একইভাবে ডান দিকে পরীক্ষা করবেন। আর চামড়ার মধ্যে কোনো ধরনের পরিবর্তন রয়েছে কি না সেটি দেখবেন। কমলা লেবুর খোসার গায়ে যেমন ছোট ছোট গর্তের মতো হয়, সেই রকম কিছু বিষয় থাকলে সতর্ক হতে হবে। নিপল বা বোঁটাটি ভেতরে ঢুকে আছে কি না, এগুলো দেখতে হবে। নিপল দিয়ে কোনো রক্ত বা কষ-জাতীয় কোনো কিছু বের হয় কি না দেখবেন। এটা হলো একটি ধাপ। আরেকটি হলো যদি সন্দেহ হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছে যাবেন। বাড়ির পাশের যে হাসপাতাল বা চিকিৎসক, তাঁর কাছে যাবেন। উনি পরীক্ষা করে যদি দেখেন সমস্যা তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। ডাক্তার একটি পরীক্ষা করবেন, ম্যামোগ্রাম করবেন। ম্যামোগ্রাম যেখানে নেই সেখানেও একটি ভালো বিকল্প রয়েছে। আল্ট্রাসোনোগ্রাম করে স্তনের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ তথ্য আমরা পেতে পারি।