সিওপিডি প্রতিরোধে পরামর্শ
ফুসফুসের একটি জটিল সমস্যা সিওপিডি। সাধারণত ধূমপান ও বায়ু দূষের কারণে এটি হয়। সিওপিডি প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা জরুরি। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৬৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে বক্ষ্যব্যাধি বিভাগে জেষ্ঠ্য পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সিওপিডির সমস্যা নিয়ে যখন আপনাদের কাছে রোগীরা আসে, আপনারা কী তখনই তাকে ধূমপান বন্ধ করে দিতে বলেন?
উত্তর : যখন আমাদের কাছে আসে,তখন তো খুব দেরি হয়ে যায়। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। তখন আর ধূমপান বন্ধ করলেও তো হয় না। এটি প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাটা বেশি জরুরি। সিওপিডি হয়ে গেলে তেমন কিছু আসলে করার নেই। প্রতিরোধই আসলে বড় কথা। আমরা ধূমপান করব না। বায়ু দূষণ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখব।
আরেকটি বিষয়। আমাদের মা বোনরা যখন গ্রামে লাকড়ির চুলা দিয়ে রান্না করেন, সেখান থেকেও কিন্তু সমস্যা হয়। বছরের পর বছর যে তিনি লাকড়ির চুলা দিয়ে রান্না করছেন,তার থেকেও কিন্তু সিওপিডি হতে পারে। সুতরাং বায়ু দূষণ এবং ধূমপান এ দুটো খুব ক্ষতিকর। আমাদের ঢাকা বা মহানগরের বাতাসকে যদি একটি গ্যাস চেম্বারের সঙ্গে তুলনা করি, সালফার ডাই-অক্সাইড বলুন, কার্বন মনোক্সাইড বলুন, ভাসমান বস্তুকণা বলুন, লিড বলুন, একেবারে ভরা। আপনি যুক্তরাষ্ট্রের কথা চিন্তা করুন। বুক ভরে শ্বাস নিতে ইচ্ছে করে সেখানে। আর আমাদের দেশে মনে হয়, শ্বাস না নিয়ে বেঁচে থাকতে পারলে ভালো হয়। শ্বাস নিলেই তো আমরা বিষাক্ত জিনিস নিচ্ছি। যেকোনো মূল্যে বায়ু দূষণকে কমাতে হবে। সুন্দর, নির্মল বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এই যে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকি, নাক দিয়ে কালো ধোঁয়া যাচ্ছে- সেগুলো দিয়ে বিশাল ক্ষতি করছে। একবার যদি একটি গাড়ির কালো ধোঁয়া নাকের মধ্যে ঢোকান, এক হাজার সিগারেট খাওয়ার সমান হয়। সুতরাং আপনি ধূমপান করছেন না, তবে গাড়ির কালো ধোঁয়া নিয়ে নিজেকে নিজে ধ্বংস করছেন।
আরেকটি বিষয় রয়েছে। আমি ধূমপান করছি। তবে আপনি হয়তো ধূমপান করছেন না, আমার পাশে বসে থাকার জন্য আপনি কিন্তু পরোক্ষ ধূমপায়ী হচ্ছেন। এজন্য আমরা বলি ধূমপান তো করবেনই না, ধূমপায়ী ব্যক্তির কাছেও থাকবেন না।