শিশুর দাঁতের যত্নে অবহেলা করবেন না। শিশুর দুধদাঁতও গুরুত্বপূর্ণ পরবর্তীকালে স্থায়ী দাঁত ওঠার দিকনির্দেশনার জন্য। শিশুর দাঁতের যত্নে কিছু পরামর্শ জানিয়েছেন ডা. মো. সাইফুল আজম রনজু। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮১৪তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।

প্রশ্ন : শিশুদের দাঁতের যত্নের বিষয়ে পরামর্শ কী?

উত্তর : শিশুদের দাঁতের যত্ন যেটা, এ ক্ষেত্রে তো অবশ্যই ব্রাশ করতে হবে। বিশেষ করে মা-বাবা যখন রাতে ব্রাশ করতে যান, তখন শিশুদেরও সঙ্গে নেওয়া উচিত। আর আরেকটি পরামর্শ হচ্ছে, অনেকে বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে দুধ খাওয়ান। দিনের বেলা খেতে চায় না, তখন মায়েরা রাতে ফিডার বা বুকের দুধ খাওয়ান। এটি দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সে ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো দিনের বেলা খাওয়ান। আবার রাতে যদি খাওয়ানো হয়, তাহলে অন্য একটি ফিডারে পানি দেওয়া উচিত। তাহলে দাঁতে চিনিটা আর লেগে থাকে না। এতে ক্ষয় অনেক কমে যায়।

প্রশ্ন : অনেক সময় আমরা দেখি শিশুদের সামনের দাঁত ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কী?

উত্তর : এর কারণ মূলত রাতে ফিডারে খাওয়ানো। কারণ, রাতে যখন খায়, নিচের দাঁত নিরাপদ থাকে। জিহ্বা নিচের দাঁতকে আটকে রাখে। আর ওপরের দাঁতে যখন লেগে থাকে, তখন যে জীবাণু হয়, এসিডটা লেগে থাকে, এসিড থেকেই মূলত ক্ষয়টা হয়।

প্রশ্ন : অনেকের দাঁত খুব বেশি ক্ষয় হয়ে যায়। তখন ফেলে দিতে চান মা-বাবা। আসলে দুধদাঁত সঠিক সময়ে পড়ার জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন আছে কি?

উত্তর : কারো যদি দাঁত ক্ষয় হয়ে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়, দেখা যায় ফেলতে হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে শিশুদের পরে স্থায়ী দাঁতগুলো ঠিকমতো ওঠে না অথবা আঁকাবাঁকা ওঠে। সবচেয়ে বেশি যেটি সমস্যা যে চোয়ালের গঠনটা ঠিকমতো হয় না। অনেক সময় চোয়াল ছোট হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দাঁতগুলো চোয়ালের ভেতর থেকে যায়। অথবা আঁকাবাঁকা হয়ে উঠে যায়। তখন তাদের দেখতে পচা লাগে। স্থায়ী দাঁতের গাইডলাইন হিসেবে দুধদাঁতগুলো রাখা উচিত। ভাঙা থাকা অবস্থায়ও রাখা উচিত।