নিউমোনিয়ার লক্ষণ কী?
জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮০২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মুহাম্মদ সুলতান উদ্দীন। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একটি শিশুর নিউমোনিয়া হলে কোন কোন ধরনের উপসর্গ বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায়?
উত্তর : মায়েরা শিশুদের নিয়ে আসে। নিয়ে এসে বলে, ‘স্যার, আমার বাচ্চার তো জ্বর হয়েছে, ঠান্ডা হয়েছে, কাশি হয়েছে।’ তখন প্রথমেই শিশু চিকিৎসক দেখবেন বাচ্চা কি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত, নাকি এটি কোনো সাধারণ সর্দি-জ্বর বা সাধারণ ঠান্ডা। কারণ, সাধারণ সর্দি-জ্বর বা সাধারণ ঠান্ডা এটা বয়স্কদের মধ্যে যেমন হয়, তেমনি বাচ্চাদেরও অহরহ লেগে থাকতে পারে। তবে এটি মারাত্মক কোনো রোগ নয়।
বাংলাদেশে যে প্রায় দুই কোটি শিশু রয়েছে, এর মধ্যে প্রতিবছর কয়েক লাখ শিশু মারা যাচ্ছে নিউমোনিয়ায়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া।
নিউমোনিয়ার প্রধান উপসর্গ হলো হঠাৎ করে বাচ্চাটা জ্বরে আক্রান্ত হবে, হঠাৎ করে বাচ্চাটা রাত-দিন সব সময় কাশি থাকবে, এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট থাকবে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাচ্চাটার খাবার খেতে কষ্ট হবে, খাওয়া ছেড়ে দেবে। এমনকি কিছু খেতে গেলেই বমি করবে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাচ্চাটা নির্জীব হয়ে যায়, দুর্বল হয়ে পড়ে, ঠিকমতো তাকাতে চায় না, ঠিকমতো চলাফেরা করতে চায় না, ঠিকমতো খেলাধুলা করতে চায় না।
প্রশ্ন : নিউমোনিয়াজনিত শ্বাসকষ্ট বোঝার উপায় কী?
উত্তর : হঠাৎ করে যদি কোনো বাচ্চা আক্রান্ত হয়, জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্ট এ তিনটি লক্ষণ যদি একত্রে কোনো বাচ্চার থাকে, ডাক্তারকে অবশ্যই শিশুটাকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। শুধু লক্ষণ দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখবেন, শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের হার কত? একটি সুস্থ বাচ্চা প্রতি মিনিটে হয়তো ৪০ বারের কম শ্বাস-প্রশ্বাস নেবে। তবে যখন নিউমোনিয়া হবে, তখন শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যাবে। প্রতি মিনিটে হয়তো ৫০/৬০/৭০ বা তার চেয়ে বেশি হতে পারে। এটি নিউমোনিয়ার একটি লক্ষণ। চিকিৎসক পরীক্ষা করলে এটি ধরতে পারবেন। এ ছাড়া অনেক সময় বাচ্চার হৃদস্পন্দনও দ্রুত হয়ে যেতে পারে জ্বরের কারণে বা শ্বাসকষ্টের কারণে।