প্রাথমিক অবস্থায় সাধারণত লিভার সিরোসিসের লক্ষণ বোঝায় যায় না। তবে যখন লক্ষণ শুরু হয়, তখন হয়তো ৮০ ভাগ লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তবু প্রাথমিক অবস্থায় কিছু বিষয়ে সচেতন থাকলে কিছুটা সতর্ক হওয়া যায়।

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৯৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. গোলাম আযম। বর্তমানে তিনি বারডেম হাসপাতালের জিএইচপিডি বিভাগের ইউনিট-প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রশ্ন : প্রাথমিক অবস্থায় লিভার সিরোসিস বোঝার উপায় কী।

উত্তর : প্রাথমিক পর্যায়ে কিন্তু একটি মানুষ নাও বুঝতে পারে। লিভার সিরোসিসের অন্যতম কারণ হেপাটাইটিস বি ও সি – এই দুটো রোগেরও কিন্তু আসলে কোনো লক্ষণ তেমন নেই। লিভার সিরোসিস হয়ে গেলে যখন তার কার্যক্ষমতা কমে যায়, তখন লক্ষণ হিসেবে তার জন্ডিসটা আসতে পারে, তার অবসন্নতা হয়। কাজ করার স্পৃহা কমে যায়। মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। পেটে পানি আসতে পারে। ততদিনে লিভার কিন্তু বেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

যেসব ওষুধ লিভার সিরোসিস করতে পারে, সেসব ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসককেই সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এনজাইমগুলো নিয়ে মনিটর করতে হবে যে সে সিরোসিসের দিকে যাচ্ছে কি না। কারো যদি বি ভাইরাস বা সি ভাইরাস থাকে, আমরা জেনে যাই, সে ক্ষেত্রে সেগুলো নিরাময় করার জন্য অনেকগুলো চিকিৎসা আমাদের দেশে এসেছে। সেগুলো আমরা দেব। মূলত সিরোসিসের লক্ষণ প্রাথমিকভাবে রোগীর প্রকাশ পায় না। যখন প্রকাশ পায়, হয়তো তার ৮০ ভাগ কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। যাদের ঝুঁকি রয়েছে তাদের বেলায় নিয়মিত আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হবে।