পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিস কি প্রতিরোধ করা যায়?
পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিস হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়। এ সমস্যা কি প্রতিরোধ করা যায়? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৯৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন আব্বাসি।
প্রশ্ন : ১৮ বছর বয়সে যখন একটি মেয়ের এ জাতীয় সমস্যা হয়, এক ধরনের মানসিক অশান্তি তৈরি হয়। তাদের প্রতি আপনাদের কাউন্সেলিংটা কী হয়?
উত্তর : অনেকের দেখা গেল একটি-দুটি ঋতুস্রাব হলো, তৃতীয়টা বন্ধ। তখন কিন্তু মায়ের সবচেয়ে বেশি উদ্বেগটা চলে আসে। তারাও মনে করে, ঋতুস্রাব মাসে মাসে হওয়ার কথা, এটা কেন বন্ধ হলো? অথবা তীব্র রক্তপাত নিয়ে রোগীরা আমাদের কাছে আসে। তখন তাদের আমাদের বোঝাতে হয়। অনেক সময় ছবি দেখিয়ে বোঝাতে হয়। আর সবচেয়ে ব্ড় কথা হলো, এই রোগীর অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কোনো সমস্যা আছে কি না, সেটি আমাদের একটু দেখে নিতে হবে। বিশেষ করে কার্ডিয়াক কোনো সমস্যা আছে কি না, সেটি দেখতে হবে। লিপিড দেখতে হবে। দেখা যায়, তাদের অনেকের সমস্যা থাকে এতে। দেখা যায়, কোলেস্টেরল বেশি অথবা চর্বির অন্য কোনো উপাদান অনেক বেড়ে গেছে। সেই ক্ষেত্রে দেখা যায়, সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে অন্য চিকিৎসাও দিতে হচ্ছে। আর ডায়াবেটিসের বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। তাহলে মেটফরমিন জাতীয় ওষুধগুলো দিয়ে তাকে চিকিৎসা করতে হবে।
প্রশ্ন : প্রতিরোধের কোনো বিষয় কি এর মধ্যে আছে?
উত্তর : আসলে তেমনভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে নিজেকে তৈরি রাখা, ফিট রাখা এটি সমস্যা কিছুটা প্রতিরোধ করতে পারে। আপনি যদি ওজন ঠিক রাখেন, প্রতিরোধ হতে পারে। আপনি যদি অল্প কোনো পরিবর্তনেই ধরে নিতে পারেন, আপনার কোনো পরিবর্তন আসছে, তাহলে অনেক প্রাথমিক অবস্থাকেই এটা বুঝে চিকিৎসার জন্য আগানো যায়।
আর একটু সচেতন থাকতে হবে, যার মা ও বোনের এ ধরনের ইতিহাস আছে, তারও এ রকম হতে পারে। তাঁরা কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।