পলিসিস্টিক ওভারির চিকিৎসা সাধারণত দুভাবে করা হয়। একটি হলো জীবনযাপন পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে, আরেকটি হলো ওষুধের মাধ্যমে। 

এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৯৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. শারমিন আব্বাসি। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। 

প্রশ্ন : পলিসিস্টিক ওভারির চিকিৎসার পরিকল্পনা কী হয়? 

উত্তর : এটা তার বয়স, তার প্রজননের কী অবস্থা, সে বিবাহিত-অবিবাহিত সব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে এখানে আমরা দুটো ভাগে চিকিৎসাকে ভাগ করে থাকি। একটি হলো তার জেনারেল চিকিৎসা। জীবনযাপনের ধারা পরিবর্তন। জীবনকে বদলাতে হবে। জীবনের অভ্যাসগুলোকে বদলাতে হবে। আরেকটি অংশ থাকে যে আমরা ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করছি। 

তার বেশি ওজন থাকলে এটি কমাতে হবে। সে হাঁটবে। তার খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন সে করবে। দরকার হলে জিমে যাবে, ব্যায়াম করবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকে অনেকের ক্ষেত্রে, সেটাকে সে কমিয়ে নিয়ে আসবে। দেখা গেল, কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার সে বেশি খাচ্ছিল। একে সে কমিয় নিয়ে সবজি খাবে। টক দই খাবে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার বেশি খাবে। ভিটামিন সি, ই আছে যেই খাবারগুলোতে, সেগুলো সে বেশি খাবে। 

এ  ক্ষেত্রে জীবনযাপনের ধরনের পরিবর্তন করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সেই সঙ্গে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে হাইপার এন্ড্রোজেন থাকতে পারে, ব্রণ থাকতে পারে। আমরা এগুলোর চিকিৎসাও বলে দিচ্ছি। পিসিও যখন নিয়ন্ত্রণে আসবে আপনাআপনি এই জিনিসগুলো নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। 

ওষুধের ক্ষেত্রে বলি, যারা এ মুহূর্তে গর্ভধারণ করতে চাইছে না, তাদের ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল দিয়ে চিকিৎসা করতে পারি।