আজ বিশ্ব থাইরয়েড দিবস। এই বছর থাইরয়েড দিবসের প্রতিপাদ্য,  ‘ ইট ইস নট মি, ইট ইজ মাই থাইরয়েড’। মানে, আমার আজকের যে অবস্থা তার জন্য থাইরয়েড অনেক দায়ী।

থাইরয়েড শরীরের একটি গ্রন্থি। এই গ্রন্থিতে বিভিন্ন রোগ হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৪৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ফরিদুল আলম। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব।  

প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক থাইরয়েড দিবস এবং বাংলাদেশে থাইরয়েডের প্রেক্ষাপট- এ বিষয়ে কিছু বলুন?

উত্তর : আন্তর্জাতিক থাইরয়েড ফেডারেশন বলে একটি সংস্থা আছে। সারা পৃথিবীর থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশন মিলে এটি করা হয়েছে। তারা ২৫ মে-কে আন্তর্জাতিক থাইরয়েড দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে বাংলাদেশ থাইরয়েড অ্যসোসিয়েশন রয়েছে। আমরা খুব সম্প্রতি এটি করেছি। যদিও আমেরিকায় ১৯১২ সালে থাইরয়েড অ্যসোসিয়েশন হয়েছে, জাপানে ৫৫ সালে হয়েছে , ভারতে ২০০৫ সালে হয়েছে। সেদিক থেকে আমরা এ বছর করতে পেরেছি। শেষে হলেও আমরা যে শুরু করতে পেরেছি সে জন্য গর্ব অনুভব করছি। বাংলাদেশে যে থাইরয়েডের অবস্থা, আপনি হয়তো জানেন বাংলাদেশের ১৫ ভাগ লোক জীবনে কখনো না কখনো থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগে।

প্রশ্ন : থাইরয়েড রোগে রোগী কী কী লক্ষণ নিয়ে আপনাদের কাছে আসছে?

উত্তর : থাইরয়েডের বিভিন্ন রোগ আছে। এর মধ্যে অনেকে শুধু গলাফোলা নিয়ে আমাদের কাছে আসে। একে আমরা গয়েটার বলি। এরপর যদি হাইপার থাইরয়েডের সমস্যা হয়, তাদের ওজন কমে যায়, বিরক্তবোধ থাকে, রাগ থাকে, মেজাজ খারাপ থাকে। তারা অনেক খায়, তবে ওজন বাড়ে না। ঘামে বুক ধরফর করে। এটি হলো হাইপার থাইরয়েড।

অন্যদিকে হাইপোথাইরয়েড হলো, সে দৈনন্দিন কার্যক্রম করতে পারে না। সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। তার ভালো লাগে না। শরীরে ব্যথা করে। ঘুম ঘুম লাগে। শীত লাগে। হাইপোথাইরয়েড রোগের সংখ্যা হলো প্রায় দুই শতাংশ। আমাদের দেশে প্রায় ৩০-৪০ লাখ লোক হাইপোথাইরয়েডে ভুগছে।

এ ছাড়া থাইরয়েড ক্যানসার, থাইরয়েডাইটিস, গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের জটিলতা, বন্ধ্যত্ব, গর্ভপাত, গর্ভাবস্থায় অন্যান্য সমস্যা হাইপোথাইরয়েডের কারণ।