কোমর ব্যথার কারণ কী?
কোমর ব্যথা বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা। ব্যথা অনেক সময় কোমর থেকে পা পর্যন্ত হতে পারে। বিভিন্ন কারণে কোমর ব্যথা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৪২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. নুরুজ্জামান খান। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোমর ব্যথার রোগীরা কোমরের পাশাপাশি আর কী কী ধরনের সমস্যা নিয়ে আসে?
উত্তর : কোমর ব্যথা বলতে আমরা বুঝি পিঠের নিচের অংশের ব্যথা। অবশ্য এ ব্যথা পিঠের পাশেও হতে পারে। ব্যথাটা পায়ের দিকে নেমে যায়। পায়ের পেছন দিকেও নেমে যেতে পারে। পা অবশ লাগে বা ঝিঁ ঝিঁ করে। কোমর ব্যথা বা সায়েটিকার (রগের ব্যথা) জন্য সাধারণত রোগীরা আসে।
প্রশ্ন : এ সমস্যাগুলোর পেছনের কারণ কী?
উত্তর : কোমর ব্যথা বা সায়াটিকা সাধারণত ছোটখাটো যে সমস্যা আছে, সেগুলোর কারণে হয়। ছোটখাটো আঘাত পেল হয়তো শরীরে, পিঠে, মাংসপেশিতে—এসব কারণে হয়। এগুলো সাধারণত সাধারণ চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোমরের ভেতরের যে মেরুদণ্ড আছে, মেরুদণ্ডের যে হাড়গুলো রয়েছে, যাকে আমরা বলি ভাট্রিব্রা, এগুলোর মাঝে একটি করে জোড়া থাকে, যাকে আমরা ডিস্ক বলি, এর ভেতরে দুটো আবারণ থাকে (ভেতরে একটি আবরণ আর বাইরে একটি আবরণ) বাইরের আবরণ যদি ফেটে যায়, সেই ফাটা জায়গা দিয়ে যদি ভেতরের অংশটি বাইরে বের হয়ে আসে, তখন আমাদের কোমর ব্যথা হয়।
ভেতরের অংশটি বের হয়ে এসে যে নার্ভ রয়েছে, সেখানে চাপ তৈরি করে। সে জন্য কোমর থেকে পায়ের দিকে যে নার্ভ আসছে, সেটি বরাবর পায়ের দিকে ব্যথা করে।
প্রশ্ন : কী কী ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করেন?
উত্তর : কোমর ব্যথার আরো কিছু কারণ আছে। যেগুলো বলা হয়নি। এ ছাড়া দেখা যায় যে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো সরে গেছে, হাড় ভেঙে গেছে বা ওখানে টিবি হয়েছে বা ওখানে কোনো ইনফেকশন বা টিউমার হলো—এসব কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে।
এই সমস্যাগুলো নিয়ে একজন রোগী এলে আমরা এক্স-রে করতে বলি। আর এমআরআই হলো সবচেয়ে ভালো পরীক্ষা। এমআরআই করলে আমরা সবকিছু বুঝতে পারি, কী কারণে হচ্ছে এবং চিকিৎসায় আমরা কোন দিকে যাব।