অ্যালার্জি নির্ণয়ে কীভাবে পরীক্ষা করা হয়?
অ্যালার্জি নির্ণয়ে সাধারণত দুভাবে পরীক্ষা করা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭১৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অ্যালার্জি ও ক্লিনিক্যাল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক।
প্রশ্ন : কী ধরনের অ্যালার্জি, এটি নির্ণয়ে কী পরীক্ষা করেন?
উত্তর : অনেক মানুষের ধারণা, কারো যদি অ্যালার্জি হয়, যেমন ধরেন অ্যাজমা বা অ্যালার্জি হয়ে থাকলে সাধারণত গরুর মাংস, চিংড়ি, হাঁসের মাংস, বোয়াল মাছ, কচু, বেগুন খাওয়া হয়তো বাদ দিয়ে দেয়। এটা ঠিক নয়। এ জন্য অ্যালার্জি পরীক্ষা করতে হয়। এটা দুভাবে করা যায়। হাতের মধ্য দিয়ে একটি করা হয়, একে বলে স্কিন পিগটেস্ট। বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জেন দিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। আধাঘণ্টা পর এর রিপোর্ট পাওয়া যায়। আরেকটি হলো স্পেসিফিক আইজিই পরীক্ষা করা যায়। রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায় যে কার কোনটিতে অ্যালার্জি। আমার আজকের ২০ বছরের অভিজ্ঞতায়, যত অ্যাজমা রোগীর পরীক্ষা করেছি, তাদের পাঁচ ভাগেরও গরুর মাংসে অ্যালার্জি নেই। তাই গরুর মাংস খেলেও যা, না খেলেও তা।
সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জি হাউস ডাস্ট মাইটে। এটা বিছানায় থাকে। ধুলাবালির মধ্যে থাকে।
শীত চলে গেলে শীতের কাপড় আমরা ওয়ার্ডরোব, আলমারিতে রেখে দিই। এগুলো হলো মাইটের আস্তানা।