শিশুদের হৃদরোগের চিকিৎসা কী
শিশুদের হৃদরোগ বিভিন্ন কারণে হয়। তবে এর ভালো চিকিৎসা আমাদের দেশেই আছে। সময়মতো চিকিৎসা নিয়ে রোগের জটিলতা থেকে শিশুকে রক্ষা করুন।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭০২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. তারিকুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : রিউমাটয়েড হার্ট ডিজিজের বাচ্চাদের চিকিৎসা কী।
উত্তর : রিউমেটিক ফিভারে যদি হার্টের ভাল্ভ যুক্ত না হয়ে থাকে, হার্টের ভাল্ভ ভালো আছে সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে যে আমরা চিকিৎসা দিই, অর্থাৎ আমরা পেনিসিলিন ইনজেকশন দিই। যদি কারডায়েটিস বৃদ্ধি না হয়, তাহলে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত, অথবা পাঁচ বছর পর্যন্ত যার ব্যাপ্তি বেশি হবে, সে পর্যন্ত সে ওষুধ খাবে।
আর যদি ভাল্ভে আক্রান্ত করে থাকে, সেটা নষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত, এমনকি সারা জীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হবে, প্রতিরোধ করার জন্য।
প্রশ্ন : এমনিতে তো আপনারা ইন্টারভেনশনাল মেথড ব্যবহার করেন। শিশুদের হৃদরোগের বেলায় কোন কোন পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেন?
উত্তর : আসলে এদের দেখা যায় যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সার্জারির প্রয়োজন হয়। তবে এখন আমরা নন-সার্জিক্যাল, মানে ইন্টারভেনশনাল পদ্ধতিতে অনেকগুলো চিকিৎসা করতে পারি। সবচেয়ে প্রচলিত হলো ভিএসডি, এএসডি ও পিডিএ। আমরা ডিভাইস ক্লোসার করতে পারি। এই তিনটি বন্ধ করার জন্য আলাদা আলাদা ডিভাইস তৈরি আছে।
সেগুলো আমরা ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে, ওই জায়গায় নিয়ে বসিয়ে দিই। এ ছাড়া ভাল্ভের যে ত্রুটি, জন্মগতভাবে যদি কারো পালমোনারি বা অ্যাওটিক ভাল্ভ সরু থাকে, স্টেনোসিস বলি আমরা। সে ক্ষেত্রে আমরা বেলুনের মাধ্যমে, সেই সরু জায়গাগুলো ফুলিয়ে ঠিক করে দিতে পারি। এ ছাড়া আছে কোয়াকটেশন অব অ্যাওটা। সেটাও জন্মগত একটা ত্রুটি। চিকিৎসা দিয়ে একে বড় করে দিতে পারি। বেলুনে কাজ না হলে আমরা স্ট্যানটিং করতে পারি। একধরনের মেটালিক স্ট্যান আমরা সেখানে নিয়ে বসিয়ে দিই। এটা আসলে স্থায়ী চিকিৎসা। সার্জারি না করে এদের ভালো করা যাচ্ছে।