যক্ষ্মার চিকিৎসা ছয় মাস ধরে করতে হয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে রোগ জটিল হয়। আর মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করে দিলে রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে।

এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৮৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মাহবুবুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি আল-মানার হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : চিকিৎসা পুরোপুরি না নিলে কী ধরনের জটিলতা হয়?

উত্তর : যক্ষ্মার চিকিৎসা ঠিকমতো না নিলে রোগ ভীষণ জটিল হয়ে পড়ে। তবে বর্তমানে সরকার ও এনজিওর যে সচেতনতা, এতে যক্ষ্মার ওষুধ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার হারটা খুব কম। একটি বিশাল নেটওয়ার্ক আছে। তারপর যদি যক্ষ্মা রোগ নিয়মিত অবিরাম চিকিৎসা থেকে ছুটে যায়, সেই ক্ষেত্রে তাঁকে বের করে নেওয়ার জন্য এনজিওকর্মীরা সব সময় থাকেন। তারপরও যদি না করা হয়, যেমন ধরেন কমলাপুর রেলস্টেশনে বা সদরঘাটে অনেক ভাসমান লোক থাকে। তাঁদের ওষুধের নিয়মিতভাব নষ্ট হয়। সেসব ক্ষেত্রে জটিল যক্ষ্মা রোগ সৃষ্টি হয়। একে বলা হয় মাল্টিড্রাগ রেজিসটেন্স টিউবারকলোসিস।

প্রশ্ন : এটি হয়ে গেলে তখন নিরাময় করার কি কোনো ব্যবস্থা রয়েছে?

উত্তর : আগে আমরা নির্ণয় করব, সত্যি সত্যি জটিল যক্ষ্মা রোগী আছে কি না। আমাদের রেফারেন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে জানতে পারি আমরা। এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসার জন্য কিছু সেন্টার আছে। আমরা প্রথমেই ভর্তি করি, ভর্তি করে ছয় মাস চিকিৎসা দিই। এরপর বাড়ি ছেড়ে দিই। বাড়িতে এর চিকিৎসা হতে পারে। এনজিওকর্মীর মাধ্যমে করা যেতে পারে।