বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস : যক্ষ্মার লক্ষণ কী
আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। যক্ষ্মা নির্মূলে সচেতনতা জরুরি। একসময় যক্ষ্মা খুব ভয়াবহ রোগের নাম হলেও এখন চিকিৎসায় রোগটি ভালো হয়। তবে এর জন্য প্রয়োজন যক্ষ্মা সম্পর্কে জ্ঞান।
যক্ষ্মার কিছু লক্ষণের ধারণা নিচে দেওয়া হলো :
লক্ষণ
সন্ধ্যায় ঘুষঘুষে জ্বর, প্রচুর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া, ওজন কমে যাওয়া, দুর্বলতা ও ক্ষুধামান্দ্য প্রায় সব ধরনের যক্ষ্মাতেই থাকে। তবে এর সঙ্গে আক্রান্ত অঙ্গ অনুযায়ী কিছু বিশেষ লক্ষণ থাকে। যেমন—
- ফুসফুসের যক্ষ্মায় কাশি হয়। কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়। ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে একপর্যায়ে কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, ফুসফুসে পানি জমা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ইত্যাদি নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে ।
- মেরুদণ্ডের যক্ষ্মায় পিঠে বা কোমরে ব্যথা হয়। অনেক সময় নিজে নিজে বা সামান্য আঘাতে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়।
- লসিকা গ্রন্থিতে যক্ষ্মা হলে গ্রন্থিগুলো ফুলে যায়।
- অন্ত্রে যক্ষ্মা হলে ঘন ঘন ডায়রিয়া হয়। পেটে পানি জমতে পারে।
- মস্তিষ্কে যক্ষ্মা হলে মাথাব্যথা হয়, রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ওপরের লক্ষণগুলো দেখা গেলে এবং আশপাশে বা পরিবারে কারো যক্ষ্মা থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তির যক্ষ্মার জন্য পরীক্ষা করতে হবে। নিচের পরীক্ষাগুলো করলেই মোটামুটি রোগ সম্পর্কে জানা যায়।
- বুকের এক্স-রে,
- রোগীর কফ পরীক্ষা,
- রোগীর রক্ত পরীক্ষা,
এ ছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে ফুসফুসের রস, মেরুদণ্ডের রস, পেটের পানি নিয়েও পরীক্ষা করা হয়।
লেখক : রেসিডেন্ট, বিএসএমএমইউ।