শিশুর জন্মগত হৃদরোগের লক্ষণ কী
অনেক শিশুই জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্মায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৮৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. তারিকুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শিশু জন্মগতভাবে হৃদরোগ নিয়ে জন্মায় কেন? কী ধরনের সমস্যা নিয়ে জন্মাতে পারে?
উত্তর : শিশু জন্মের সময় হার্টের যে ত্রুটি নিয়ে জন্মায়, তাকে জন্মগত হৃদরোগ বলে। এটা সাধারণত গঠনগত ত্রুটি। জন্মের সময় হার্টে ছিদ্র থাকলে একে জন্মগত হৃদরোগ বলে। এ ছাড়া আরো অনেক ধরনের ত্রুটি রয়েছে। ভাল্ভে ত্রুটি হতে পারে। এ ছাড়া বড় যে আর্টারিগুলো আছে, ভ্যানগুলো আছে সেগুলোরও নানা রকম ত্রুটি থাকতে পারে। আসলে বাচ্চাদের হার্টের রোগ, আর বড়দের হার্টের রোগ আলাদা।
প্রশ্ন : কী কী লক্ষণ দেখলে বোঝা যাবে শিশুর জন্মগত হৃদরোগ আছে?
উত্তর : আসলে অনেক সময় জন্মের পর পরই অনেক লক্ষণ দেখা দেয় না। যেটা চিকিৎসকও প্রথমে বুঝতে পারেন না। কিছু কিছু জন্মগত হৃদরোগের লক্ষণগুলো এক মাস, দেড় মাস এমনকি ছয় মাস পরও দেখা দিতে পারে। তবে প্রচলিত যে জন্মগত হৃদরোগগুলো হয়, সেগুলোর যদি সাধারণ একটি তালিকা করি, তাহলে দেখব যে, বাচ্চা ঘন ঘন শ্বাস নেবে, দ্রুত শ্বাস নেবে, এ ছাড়া দ্রুত হৃদস্পন্দন হবে। একে অনেক সময় আমরা পালপিটিশনের মতো বলি। এটি হতে পারে। দেখা যাবে বাচ্চা খুব দুর্বল দেখাচ্ছে। একে আমরা বলি ইফোর্ট ইনটলারেন্স। এ ছাড়া বাচ্চা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেশি ঘামবে। এ ছাড়া দেখা যাবে বাচ্চার খাবার আগ্রহ কমে গেছে বা খাবার খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে। এটা হলো প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া এটা যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে তাহলে দেখা যায় বাচ্চার ওজন যেভাবে বাড়ার কথা সেভাবে বাড়ছে না। আর ঘন ঘন সর্দি কাশি লেগে থাকাও একটি সমস্যা। এটা হলো একটি অন্যতম লক্ষণ। যদি কোনো বাচ্চার ঘন ঘন সর্দি কাশি লেগেই থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এটা দেখতে যে তার কোনো জন্মগত হৃদরোগ আছে কি না।