সোরিয়াসিস দীর্ঘমেয়াদি রোগ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তেমন জটিলতা না হলেও কিছু কিছু সোরিয়াসিসে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে এর সংখ্যা কম।

এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের  ২৬৮৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক মো. রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি স্কিন স্কয়ারের চর্ম ও যৌন বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : যদি সঠিক সময়ে সোরিয়াসিসের চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে কী কী জটিলতা হতে পারে?

উত্তর : এক শতাংশ ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়ে যায়। আসলে জটিলতা হয় গাঁটে। একে আমরা সোরিয়াটিক আর্থোপ্যাথি বলি। এখানে যখন সোরিয়াসিসের কারণে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তখন মানুষের চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা আসে, মানুষ চলাফেরা করতে পারে না- এমন অবস্থাও দাঁড়ায়। তবে আরো কিছু রোগ আছে, যার কারণে সোরিয়াসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেগুলো হলো লিম্ফোমা নামে এক ধরনের ক্যানসার। সোরিয়াসিস রোগীদের এই ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা একটু বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, সোরিয়াটিক রোগীদের লিম্ফোমা বেশি হয়। সেরকম  ক্রনস ডিজিজ নামে আরেকটি রোগ অন্ত্রে হয়, সেটিও সোরিয়াসিসের কারণে বাড়তে পারে।

আসলে সোরিয়াসিসের যে ব্যাপ্তি এর ওপর বিষয়টি নির্ভর করে। ব্যাপ্তি যখন বাড়তে থাকে, তখনই অন্য জটিলতাগুলো আসে। এই জটিলতাগুলো ব্যাপ্তির ওপরেই নির্ভর করবে।

প্রশ্ন : রোগ আগে থেকে ধরার উপায় কী?

উত্তর : কিছুটা সন্দেহ রোগী নিজেই করতে পারবে। সেই সন্দেহ রোগী নিজেকেই করতে হবে। যখন রোগীর নির্দিষ্ট জায়গা থেকে  অন্য জায়গায় ছেয়ে ফেলছে তখনই কিন্তু রোগীকে এটা শুরু করতে হবে এবং দেখতে হবে অন্য জায়গায় উপসর্গ আছে কি না। প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই। তবে হলে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।