ডায়াবেটিসের সঙ্গে কিডনি রোগের সম্পর্ক কী?
ডায়াবেটিস হলে কিডনি রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৭৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. শামীম আহম্মেদ। তিনি জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক ও অধ্যাপক।
প্রশ্ন : ডায়াবেটিসের সঙ্গে কিডনি রোগের সম্পর্ক কোথায়?
উত্তর : কয়েক দিন আগেই ছিল বিশ্ব কিডনি দিবস। এবারকার প্রতিপাদ্য বিষয়টিতে যদিও ডায়াবেটিসের কথা বলা হয়নি, তবে পরোক্ষভাবে ডায়াবেটিসকে বোঝাচ্ছে। স্থূলতা ও দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ—এটি ছিল এবারের স্লোগান। যাদের স্থূলতা আছে, তাদের ডায়াবেটিস হবেই। সাধারণত হয়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ—এ দুটোই দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কারণ।
দেখা যাচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপার ইনসুলিন হচ্ছে। লিপিড প্রোফাইল বেড়ে যাচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রোগীদের কিডনি ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশ্বে প্রায় ৬০ কোটি লোক স্থূলতা রোগে ভুগছে। ২০২৫ সালে দেখা যাবে, এই স্থূল রোগীর সংখ্যা পুরুষদের ক্ষেত্রে শতকরা ১৮ ভাগ, নারীদের ২১ ভাগ। কাজেই এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে ডায়াবেটিসটা একটা ইপিডিমিক ফর্মে দেখা যাবে। সেই জন্য জনগণকে এই স্থূলতা বা ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানাতে হবে। প্রতিরোধের জন্য মনোযোগী করতে হবে।
তবে ডায়াবেটিস বা স্থূলতা কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আপনার স্থূলতা আপনার নিজের ওপর। আপনার যদি নিয়ন্ত্রণ থাকে, আপনি ওজন কমাতে পারেন।
বাড়তি ওজন বা ডায়াবেটিস আমরা কীভাবে বুঝতে পারি? আমরা যেই খাবারটা খেলাম, এতে আমার যে ক্যালরি তৈরি হচ্ছে, সেটি যদি বের না হয়, চর্বি আকারে সেটি আবার শরীরে জমা থাকবে। জমা হলেই ওজনটা বাড়ে। কাজেই আপনি যদি ওজনটা ঠিক রাখেন, আর কিছু লাগবে না। আয় ও ব্যয় সমান রাখতে হবে। এটা আমরা করতে পারি। আমরা যদি সুষম খাবার খাই, আমরা বেশি না খাই, যদি কায়িক পরিশ্রম করি, তাহলে ওজন ও ডায়াবেটিস অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
স্থূলতার আরো কয়েকটি কারণ আছে। যদি কোনো হরমোনাল কারণে হয়, যেমন হাইপোথাইরয়েডের জন্য হয়, এন্ড্রোক্রাইন কারণে হয়, সেগুলো থেকেও স্থূলতা হতে পারে। আমরা যদি এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করি, তাহলে আমরা স্থূলতা ও ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।