শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডির লক্ষণ কী?
শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডি তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রকাশ পায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৫২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। বর্তমানে তিনি এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সিওপিডিতে কী কী লক্ষণ প্রকাশিত হচ্ছে?
উত্তর : লক্ষণগুলো খুবই কষ্টকর। একজন সিওপিডি আক্রান্ত রোগী যখন আমাদের চেম্বারে আসে, তখন খুবই খারাপ লাগে দেখতে। সবাই ধরে ধরে আমাদের কাছে নিয়ে আসছে। একটু নড়াচড়া করলেই তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। সে চেম্বারে চেয়ারে বসাচ্ছে। মুখটা ফাঁক করে শ্বাস নিচ্ছে। এত শ্বাসকষ্ট যে ঠোঁটটা লাগাতে পারছে না। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবে অ্যাজমার সঙ্গে এর কিছু পার্থক্য রয়েছে। আবার সব শ্বাসকষ্ট মানে অ্যাজমা নয়। অ্যাজমা একটি বিশেষ ধরনের শ্বাসকষ্ট। সিওপিডির প্রধান লক্ষণ হলো তার শ্বাসকষ্ট। শ্বাসকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করে।
অ্যাজমা যেমন চিকিৎসা করলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, এটায় কিন্তু তেমন হয় না। ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যায়। আমাদের পুরোনো বইগুলোতে আছে, আস্তে আস্তে কবরের দিকে যায়। যতই আপনি চিকিৎসা দেন ফুসফুসের যে অবকাঠামো রয়েছে, সেটি ভেঙে যাচ্ছে। আরেকটি লক্ষণ হলো কাশি থাকবে। কাশির সঙ্গে অনেক সময় পাকা কফ বের হবে। অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে রক্তও যেতে পারে। তবে অনেকের জ্বর আসে। সেকেন্ডারি সংক্রমণ যখন হয়। এটা শীতকালে খুব বেশি আসে। শীতকালে ঠান্ডার জন্য খুব বেশি ধূমপান বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে একিউট এক্সারবেশন নিয়ে আমাদের কাছে রোগীরা আসে। তার ভয়ঙ্কর শ্বাসকষ্ট। কফ পেকে গেছে, হলুদ হয়ে গেছে। বেশ জ্বর। রোগী একেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। ফুসফুসের গঠন একেবারে সরু হয়ে যাচ্ছে। ফুসফুস এমনভাবে বাতাসে ভরা, রোগী তো বাতাসটা ফেলতে পারছে না। রোগীর শরীরের গঠন অন্য রকম হয়ে যাচ্ছে।