শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডি কেন হয়
সিওপিডি বা ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগ। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৫২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। বর্তমানে তিনি এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সিওপিডি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সিওপিডি হলো ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ। আগে আমরা যাকে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস উইথ ইনভাইসিমা বলতাম, এখন সেই নাম পরিবর্তিত হয়ে গিয়ে সিওপিডি হয়ে গেছে। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে বারবার শব্দটি দর্শকের মধ্যে পরিচিত করছি। সিওপিডি একটি মারাত্মক রোগ। একে বলা হচ্ছে মৃত্যুহারের অন্যতম কারণ।
১৯৯০ সালের হিসাবমতে, সিওপিডির অবস্থান ছিল মৃত্যুহারের ষষ্ঠতম। আশঙ্কা করা যাচ্ছে, যে হারে সিওপিডি বাড়ছে, ২০২০ সাল নাগাদ এর অবস্থান তৃতীয়তে দাঁড়াবে। তাহলে বুঝতে পারছেন, সিওপিডি কত ভয়ংকর একটি রোগ। সিওপিডি হলো জিনগত, আচরণগত ও পরিবেশগত।
দেখা যায়, অনেকের ক্ষেত্রে কিছু জেনেটিক বিষয় থাকে এবং আলফা ওয়ান এনডিট্রিপসিনের ঘাটতি থাকে। এদের ফুসফুসের কাঠামো খুব দুর্বল থাকে। আচরণগত কারণে হচ্ছে। সে ধূমপান করছে। যে যত বেশি দিন ধরে ধূমপান করবে, একেবারে কৈশোর থেকে ধূমপান শুরু করে দিয়েছে মনে করেন। একটি পর্যায় ৪০ বছর বা মধ্যবয়স যখন পার করল, তখন তার এই কষ্টগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে।
আর পরিবেশগত হলো কাজের জায়গায়। এমন জায়গায় হয়তো কাজ করছে, ধুলা রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের দূষণে ভরা। সিমেন্টের কারখানায় কাজ করছে কিংবা জুট মিলে কাজ করছে। পরিবেশটা খুবই খারাপ। তবে সিওপিডির সবচেয়ে বড় কারণ হলো ধূমপান।
প্রশ্ন : সিওপিডিকে বাংলায় কীভাবে বলতে পারি?
উত্তর : সিওপিডি শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ। যে রোগে শ্বাসতন্ত্র আর আগের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে না। সিওপিডির বাংলা আভিধানিক অর্থ এখনো বের করা হয়নি। এটি একটি তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। এর প্রধান কারণ হলো ধূমপান। ধূমপান যদি একটি লোক না করে, সুন্দর পরিবেশে জীবনযাপন করে, সুন্দর পরিবেশে চাকরি করে, সুন্দর পরিবেশে থাকে, তাহলে সে সিওপিডিতে আক্রান্ত হবে না।