বন্ধ্যত্বের কারণ কী?
বন্ধ্যত্বের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে সময়মতো চিকিৎসা নিলে বন্ধ্যত্ব কমানো সম্ভব। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৫১তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. শামিমা নার্গিস নীলা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের গাইনি ও অবস বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বন্ধ্যত্ব বলতে আসলে আমরা বোঝাই যে একটা দম্পতি এক বছর বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কোনো সুরক্ষা ছাড়া, তবে তারপরও তাদের বাচ্চা আসেনি। এই দম্পতিদের আমরা বলি তারা বন্ধ্যত্বে আক্রান্ত। এক বছর পর্যন্ত দেখা যায় যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ছাড়া একসঙ্গে থাকেন, ৯০ ভাগ কেসেই গর্ভধারণ হয়। এক বছরের মধ্যে যদি গর্ভধারণ না করে তখন একে বন্ধ্যত্ব বলি।
প্রশ্ন : এর পেছনের কারণগুলো কী?
উত্তর : অবশ্যই এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। পুরুষদেরও কিছু কারণ থাকে। নারীও কিছু কারণ থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ কারণ দায়ী। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ দায়ী। সেই ক্ষেত্রে আমরা পুরুষদের কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা করি। পুরুষদের বাচ্চা হওয়ার জন্য যে শুক্রাণু সেটি যদি তৈরি না হয়, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে বাচ্চা হয় না। আবার অনেক সময় তৈরি হয়, তবে পরিমাণমতো হয় না। সে কারণেও এটি হয়ে থাকে। অথবা নারীদের আগে কোনো সার্জারি হয়েছে, দেখা যাচ্ছে শুক্রাণুর যে পথে আসে সেখানে কোনো সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রেও বন্ধ্যত্ব হয়।
আর নারীদের ক্ষেত্রে তো দেখা যায় অনেক অংশ রয়েছে একটি বাচ্চা জন্ম থেকে পুরোপুরি প্রসব হওয়ার জন্য। যেমন ডিম্বাশয় তার ঠিকমতো থাকতে হবে। তাদের অনেক কারণ থাকে। সমস্যার কারণে বাচ্চা আসে না। ডিম্বনালি যেটি সেটিকেও ঠিক থাকতে হবে। যদি সেটি চিকন হয়ে যায় , বন্ধ হয়ে যায়, অথবা তার সঙ্গে ডিম্বাশয়ের সম্পর্কের কোনো সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রেও বাচ্চা আসবে না।
এরপর জরায়ুতে যদি কোনো সমস্যা থাকে, জন্মগত ত্রুটি থাকে, অথবা পরে কোনো কারণে সংক্রমণ হয়ে জরায়ুতে যদি কোনো পরিবর্তন হয় বা পরে যদি কোনো টিউমার হয় জরায়ুতে, তবেও বাচ্চা হবে না। এ রকম অনেক কারণ আছে নারীদের ক্ষেত্রে। সেগুলো আমাদের পরীক্ষা করে, ইতিহাস নিয়ে বের করতে হবে।