উচ্চ রক্তচাপের ৯৫ ভাগ কারণ অজানা
উচ্চ রক্তচাপ একটি প্রচলিত সমস্যা। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর কারণ অজানা। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৫০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. আবুল বাশার। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : রক্তচাপ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আসলে রক্ত যখন শরীরে প্রবাহিত হয়, তখন রক্তনালির ওপর একটি চাপ থাকে, সেই চাপকেই আমরা বলি রক্তচাপ। রক্তচাপ দুই ধরনের হয়। সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার, ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেশার। হার্ট যখন সংকুচিত হয়, যে চাপটি শিরার ওপর পড়ে, সেটি হলো সিস্টোলিক রক্তচাপ। আর হার্ট যখন শিথিল হয়, তখন যে চাপটি রক্তনালির ওপর পড়ে, সেটি ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেশার। এটা স্বাভাবিকভাবে একটি মাত্রার মধ্যে থাকে। সেই মাত্রাটা হলো সিস্টোলিক রক্তচাপ ১২০ মিলিমিটার মার্কারি। এটা ১০ বা ১৫ কম থাকতে পারে বা বেশি থাকতে পারে। পাশাপাশি ডায়াস্টোলিক রক্তচাপও স্বাভাবিকভাবে ৮০ থাকে। কারো ১০ কম থাকতে পারে বা ১০ বেশি থাকতে পারে। এই স্বাভাবিক রক্তচাপের মাত্রা যখন বেড়ে যায় তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।
প্রশ্ন : উচ্চ রক্তচাপের কারণগুলো কী?
উত্তর : আসলে ৯৫ ভাগ রোগীর আমরা কোনো কারণ খুঁজে পাই না। এদের বলা হয়, ইডিওপ্যাথিক হাইপারটেনশন। অথবা এটি হয়তো কোনো একটি নির্দিষ্ট কারণের জন্য না হয়ে অনেক কারণের সমন্বয়ে হতে পারে। যেমন : খাবারের মধ্যে যদি লবণ বেশি থাকে, কারো যদি পারিবারিকভাবে রক্তচাপ থাকে, অথবা দুশ্চিন্তা বা উদ্বিগ্ন হওয়ার জন্য হতে পারে। আর মাত্র শতকরা পাঁচ ভাগ ক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট কারণ পাই। সেখানে হয়তো কারো কিডনির রোগের জন্য হতে পারে। কারো হয়তো এন্ড্রোক্রাইন রোগের জন্য হতে পারে। কারো হয়তো গর্ভাব্স্থা সম্পর্কিত হতে পারে। কেউ যদি দীর্ঘদিন কোনো ওষুধ খায়, যেগুলো রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যেমন মুখে খাওয়ার জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ, এরপর স্টেরয়েড ইত্যাদি দীর্ঘদিন খাওয়ার কারণে এমন হতে পারে।
পরিবার এখানে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে ইডিওপ্যাথিক হাইপারটেনশন যেটি, যেখানে আমরা কারণ জানি না, সে ক্ষেত্রে দেখা যায় পারিবারিক ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।