জরায়ুমুখের ক্যানসারের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৩৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। বর্তমানে তিনি জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যানসার ইপিডেমিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : জরায়ুমুখের ক্যানসারে একজন নারী আক্রান্ত হন কেন?

উত্তর : প্রথম আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে আমরা যেগুলোকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, সেটি হলো অল্প বয়সে বিয়ে। ১৮ বছর বয়সের নিচে বিয়ে আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না। এর আগে বিয়ে হওয়া বা সন্তান ধারণের জন্য বয়স অনুপযুক্ত। শুনে আশ্চর্য হবেন যে এ দেশের ৭৫ ভাগের বেশি নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের নিচে। শহরে শিক্ষিত সমাজে দেরিতে বিয়ে হওয়ার প্রবণতা রয়েছে বটে, কিন্তু আমাদের দেশ তো আসলে গ্রামপ্রধান। সেই হিসেবে শতকরা ৭৫ ভাগের বেশি বিয়ে হয় ১৮-এর আগে। প্রথমত অল্প বয়সে বিয়ে, দ্বিতীয়ত অল্প বয়সে সন্তান হওয়া, তৃতীয়ত বেশি সন্তান হওয়া। এই সন্তান ঘন ঘন হওয়া। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব। বিশেষ করে, নারীদের ঋতুস্রাবের সময় যদি পরিচ্ছন্নতার অভাব যদি থাকে, অপুষ্টিও একটি কারণ। একটি কারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস নামে একটি ভাইরাস আছে, যাকে সংক্ষেপে এইচপিভি বলা হয়, এই ভাইরাস বারবার হলে জরায়ুমুখের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এই কয়েকটি কারণকে আমরা গুরুত্ব দিই। আরেকটি হলো বহুগামিতা। আমাদের সমাজের যে কিছু কিছু নিয়মনীতি ছিল, ভালোর জন্য বলা যায়, অনেকটা পশ্চিমা সংস্কৃতির যে অনুপ্রবেশ, এ ক্ষেত্রে আমাদের দেখা যায় যে বহুগামিতা আমাদের সমাজের কিছু কিছু অংশে দেখা যাচ্ছে। একে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এর কারণেও জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে।