গ্যাসট্রাইটিস ও গ্যাস্ট্রিক আলসারের পার্থক্য কী?
গ্যাসট্রাইটিস ও গ্যাস্ট্রিক আলসার দুই ধরনের রোগ। তবে দুটোই খাদ্যাভ্যাসের অনিয়মের কারণে হয়। এ নিয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬১৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আফসানা বেগম। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে আপনারা মেডিকেলের ভাষায় বলেন গ্যাসট্রাইটিস, আবার কখনো বলেন গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়েছে। দুটো বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : গ্যাসট্রাইটিস আর গ্যাস্ট্রিক আলসার খুব আলাদা বিষয়। গ্যাসট্রাইটিস একটি প্রচলিত সমস্যা। খুব ঝাল খাবার খাওয়ার পর দেখা যায়, পেটের মাঝখানে বা ওপরের পেটে বা মাঝখানে জ্বালাপোড়া করে বা ব্যথা করে। একে গ্যাসট্রাইটিস বলা হয়। আর আলসার হলো আরো পরের অবস্থা। আলসার বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। এটা এন্ডোস্কোপি করে দেখতে হয়। খাদ্যনালির কিছু অংশ, মিউকাস ও পেশির অংশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন একে আলাসার বলে। তা ছাড়া আলসার বাইরের থেকে বোঝার উপায় নেই। অনেক দিন ধরে গ্যাসট্রাইটিস হতে দেখা যায় যে আলসার বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন : অনেকের দেখা যায় যে বেশি বেশি ঢেঁকুর উঠছে। গলা পর্যন্ত, মুখ পর্যন্ত জ্বালাপোড়া করছে। যাকে আপনারা জিআরডি বলেন। এটি কি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?
উত্তর : জিআরডির সমস্যা আগে খুব বেশি নির্ণয় করা হতো না। এখন দেখা যাচ্ছে, এটি অনেক বেশি নির্ণয় হয়। আমাদের দেশের লোকদের অভ্যাস ভরপেট খাওয়া। ভরপেট খেয়ে আবার আমরা এক গ্লাস পানি পান করে নিই। খেয়ে দেখা যায়, দুপুরবেলা কেউ কেউ বিশ্রাম নেয়। তাতে দেখা যায়, খাবারটা একটু ওপরে চলে আসে।
খাবারের মধ্যে যেহেতু এসিড মেশানো থাকে, সে খাবার যদি ওপরের দিকে খাদ্যনালিতে চলে আসে, তখন দেখা যায় যে জ্বালাপোড়া বেশি হয়—একে বলা হয়ে থাকে জিআরডি। যাঁদের ওজন বেশি বা অনেকের পেট অনেক বড়, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই জিনিস অনেক হয়।