একটি বড় দুর্ঘটনার পর অনেকের মধ্যেই তীব্র মানসিক চাপ হয়। এই মানসিক চাপ সামলানোর জন্য ব্যবস্থাপনা জরুরি। নয়তো এটি তাঁর জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে এবং ব্যক্তিকে দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্ণতার মধ্যে ফেলে।  

এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে ২৬১০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ঝুনু শামসুন নাহার। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : দুর্ঘটনা-পরবর্তী মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনায় আপনারা কী করেন?

উত্তর : যখন একজন রোগী আমাদের কাছে আসছে, সে যদি খুব উদ্বেগের ভেতর থাকে, আমরা প্রথমে তাকে কিছু ওষুধ দিতে পারি। ওষুধ দিয়ে অবস্থাটা কিছুটা স্বাভাবিক করতে পারি। তবে এ ধরনের অসুখের মূল চিকিৎসা হলো সাইকোলজিক্যাল ইন্টারভেনশন। কাউন্সেলিং। দীর্ঘমেয়াদি সেশন দিই। এ সময় আমরা তার কথাবার্তা শুনি।

যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার, সে যে দোষী নয়, সে এখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে পারে, এটা বোঝাই। আমরা এক্সপোজার থেরাপি দিয়ে থাকি। তার মনোবল বাড়ানোর জন্য আমরা নানাভাবে রিলাক্সেসন থেরাপি, মোটিভেশন, মানসিক শক্তি বাড়ানোর পদ্ধতি ইত্যাদি শিখিয়ে থাকি।