বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৬’ উদযাপিত হতে যাচ্ছে পঞ্চমবারের মতো। ভারত-বাংলাদেশ দুদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জনগণের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ়তর করার লক্ষ্য নিয়ে ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব’ আয়োজিত হয়ে আসছে চার বছর ধরে।

এবারে ভিন্ন আঙ্গিকে বড় পরিসরে এ উৎসব উদযাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ১০ দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে।

বুধবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল এবং নৃত্য ও সংগীত মিলনায়তনে ভারতের তিনটি, ঢাকার ২৫টি ও ঢাকার বাইরের দুটিসহ ৩০টি নাট্যদলের মঞ্চনাটক প্রদর্শিত হবে।

এ ছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে ৫৩টি সংগঠনের আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও পথনাটক পরিবেশিত হবে।

উল্লেখ্য, উৎসবে মঞ্চনাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত ও পথনাটকে ভারত ও বাংলাদেশের মোট ৮২টি দল অংশগ্রহণ করবে।

উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এবং মঞ্চনাটক প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।

উৎসবের প্রথম সন্ধ্যায় ভারতের হ-য-ব-র-ল নাট্যদল জাতীয় নাট্যশালায় পরিবেশন করবে নাটক ‘ঈপ্সা’, যার নামভূমিকায় অভিনয় করবেন অভিনেতা দেবশংকর হালদার।

২১ অক্টোবর উদ্বোধনী সন্ধ্যায় মূল হলে মঞ্চস্থ হবে ভারতের হ-য-ব-র-ল নাট্যদলের নাটক ‘ঈপ্সা’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে প্রাঙ্গণেমোরের ‘ঈর্ষা’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে কণ্ঠশীলনের নাটক ‘যা নেই ভারতে’।

পর্ষদের আহ্বায়ক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘এবার উৎসবে আমরা প্রবীণ-নবীনের সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করেছি। প্রতিবারের মতো নাটকের পাশাপাশি শিল্পকলার অন্যান্য শাখাও যোগ করছি। নাটকের পাশাপাশি গান-কবিতা-নাচকেও যুক্ত করেছি।‘