হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘এসো’ গল্প থেকে আসন্ন ঈদের জন্য নাটক নির্মাণ করছেন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন। নাটকটিতে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনয়শিল্পী জাকিয়া বারী মম ও সাজ্জাদ আরেফিন। একই গল্পের নাটকে আগে অভিনয় করেছিলেন নায়ক ফেরদৌস ও শাওন। সম্প্রতি আবারও কেন নাটকটি নির্মাণ করছেন, সে প্রসঙ্গে শাওন কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।

প্রশ্ন : ‘এসো’ নাটকটি হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেছিলেন। যেখানে আপনি এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস অভিনয় করেছিলেন। আবার নাটকটি আবারও নির্মাণের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন?

উত্তর : কিংবদন্তি সাহিত্যিক ও নির্মাতাদের কাজ তাঁদের প্রয়াণের পর বারবার রিমেক হতেই পারে। শুধু যে একবার নির্মাণ হবে, সেটাও নয়। এখন তো অল্পদিন হয়েছে হুমায়ূন আহমেদ নেই। তাই এটা প্রথমবার রিমেক হচ্ছে। ধীরে ধীরে ১০ বছর পর হয়তো আবার এটা নির্মাণ হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প অনেকভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। একেকজন নির্মাতা তাঁদের নিজস্বতা দিয়ে নাটকগুলো নির্মাণ করেছেন। আমি মনে করি, হুমায়ূন আহমেদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের মতই একজন কিংবদন্তি। তাই তাঁর কাজ বারবার রিমেক করা যেতেই পারে। তবে আমি হুমায়ূন আহমেদের করা কাজে ক্যামেরার বেশি কাজ দেখাতে চাই না। উনার কাজে প্রেম কিংবা হাস্যরস অনেক সাধারণভাবে তুলে ধরা হতো। তখন নির্মাণের সময় ট্রলি শটসহ অনেক কিছু আমাদের বাজেটের মধ্যে ছিল না। এখন টেকনোলজি অনেক উন্নত হয়েছে। নাটকে আমি উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করছি। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের নিজস্বতা পুরোপুরি আমি ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। মিষ্টি একটি রোমান্টিক গল্পের নাটক ‘এসো’।

প্রশ্ন : ‘এসো’ নাটকে ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় হয় ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে। নাটকে কি সেলফোন কিংবা ফেসবুক ব্যবহারের বিষয় আনা হয়েছে?

উত্তর : না, একদম আনা হয়নি। কারণ, এখন ফোন নম্বর ব্লক করা যায়। অনেক কিছু করাই এখন সম্ভব। তাই নাটকের গল্প ঠিক রাখতে আমরা ল্যান্ডফোনেই ব্যবহার করেছি।

প্রশ্ন : চিত্রনায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে আপনার ‘এসো’ নাটকটির কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

উত্তর : নায়ক ফেরদৌসের নাটকের ব্যাপারে সব সময় অনাগ্রহ ছিল। উনি সিনেমার কাজে বিরতি দিলেও নাটকে অভিনয় করেন না। তবে উনার প্রথম নাটক ছিল ‘এসো’। এটা একটা মজার স্মৃতি ছিল। হুমায়ূন আহমেদের নাটক বলেই ফেরদৌস অভিনয় করেছিলেন। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদ চেয়েছিলেন, ‘চন্দ্রকথা’ ছবির শুটিং শুরু করার আগে আমার আর ফেরদৌস ভাইয়ের একটা কাজ হোক, যাতে আমাদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়। যখন আমরা ‘এসো’ নাটকটির শুটিং করি, তখন ফেরদৌস ভাই বাংলাদেশ ও কলকাতায় তাঁর ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবির জন্য ছিলেন অনেক বেশি জনপ্রিয়। রমনা পার্কে সবার সামনে ফেরদৌস ভাইকে নিয়ে শুটিং করার অভিজ্ঞতাও ছিল অনেক মজার। ফেরদৌস ভাই ও রিয়াজ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বরাবরই দারুণ ছিল।

প্রশ্ন : আপনার ও চিত্রনায়ক ফেরদৌসের জায়গায় মম ও সাজ্জাদ কেমন অভিনয় করছেন?

উত্তর : মম তো পরীক্ষিত অভিনেত্রী। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছে মম। অন্যদিকে সাজ্জাদ তরুণ অভিনেতা। তাঁরা দুজনেই ‘এসো’ নাটকে ভালো অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া শিশুশিল্পী নীলও দারুণ অভিনয় করেছে।