অহনার প্রশংসা করলেন সায়মন
দুটি গানের শুটিং শেষ হলেই সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হবে পি এ কাজল পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘চোখের দেখা’। সায়মন ও অহনার রোমান্টিক একটি গান ও আরেকটি আইটেমন গানের শুটিং এখনো শেষ হয়নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলো শেষ করে আগামী মাসেই সেন্সর বোর্ডে ছবিটি জমা দেওয়া হবে বলে জানান পরিচালক পি এ কাজল। তিনি বলেন, ‘আমার শুটিং ও পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষ। এই মাসের মধ্যে ছবির পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ডাবিং থিয়েটারে এসে উপস্থিত হন ছবির নায়ক সায়মন। পাশেই ‘মায়াবী’ ছবির শুটিং করছিলেন তিনি। ‘চোখের দেখা’ ছবির অগ্রগতি জানতে তিনি আসেন পরিচালকের কাছে। সবাই একসঙ্গে বসে ছবির তিনটি গান দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
‘চোখের দেখা’ সম্পর্কে নায়ক সায়মন বলেন, “আমার ছবি দেখে বলছি না, ছবিটা আসলেই অনেক ভালো হয়েছে। আমি পাশেই ‘মায়াবী’ ছবির শুটিং করছিলাম, তখন শুনলাম এই ছবির কাজ চলছে, শুনেই চলে এসেছি। গানগুলো অনেক ভালো হয়েছে, ফাইটিংসহ সব কিছুতেই অ্যারেঞ্জমেন্ট অনেক ভালো ছিল। পিএ কাজল স্যার অনেক সিনিয়র পরিচালক, তাঁর সাথে কাজ করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।”
ডিজিটাল ছবি শুরু হওয়ার পর থেকে বিএফডিসিতে ডাবিং করা যেত না। কারণ এখানে উন্নত প্রযুক্তির কোনো যন্ত্র ছিল না। তবে সম্প্রতি ডাবিংয়ের জন্য ডিজিটাল মেশিন বসানো হয়েছে। এ বিষয়ে নায়ক সায়মন বলেন, “বড় পর্দা দেখে ডাবিং করার মজাই আলাদা। আমার চলচ্চিত্রের প্রথম কাজ ‘জ্বি হুজুর’ ছবিতে কাজ করার সময় এমন বড় পর্দা দেখে ডাবিং করেছিলাম। সেটা ৩৫ মিলি মিটারে শুটিং হয়েছিল। এর পর ডিজিটাল ছবি শুরু হওয়ার পর থেকে এফডিসিতে ডাবিং করা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুদিন ধরেই এখানে আবার কাজ করা যাচ্ছে। আসলে হয় কি ছোট মনিটরে কাজ করার সময় ঠিক মতো ঠোট দেখে মেলানো কঠিন। এখানে বড় পর্দায় কাজ করলে ভুল কম হয়।’
নায়িকা অহনার সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করার বিষয়ে সাইমন প্রশংসা করে বলেন, ‘অহনা অনেক ভালো অভিনয় করে, বর্তমান সময়ের প্রায় সব নায়িকার সাথেই কাজ করেছি। তবে অহনার সাথে কাজ করতে গিয়ে কখনো মনে হয়নি সে নতুন।’
পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পি এ কাজল। এই চলচ্চিত্রে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন শামস সুমন ও শতাব্দী ওয়াদুদ।