পরী মণির অভিযোগ অস্বীকার করলেন প্রতিবেদক
অনলাইন পোর্টাল প্রিয় ডট কমের সম্পাদক, বিনোদন সম্পাদক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন চিত্রনায়িকা পরী মণি। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে পরী মণি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে প্রিয় ডট কমের সম্পাদক জাকারিয়া স্বপন, ফিচার সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও বিনোদন প্রতিবেদক মাহমুদ উল্লাহর বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। পরী মণির অভিযোগ, ‘মহুয়া সুন্দরী’ চলচ্চিত্রের ইতিবাচক প্রচার করা হবে বলে এক লাখ টাকা দাবি করেন অনলাইন পত্রিকার প্রতিবেদক মাহমুদ উল্লাহ। তাঁকেই মামলার প্রধান আসামি করেন পরী মণি।
প্রিয় ডট কমের প্রতিবেদক মাহমুদ উল্লাহর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “পরী মণির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, আমি টাকা চাইনি, এফডিসিতে ‘মহুয়া সুন্দরী’ রিলিজের তিনদিন আগে ফটোশুট হয়েছিল, ওখানে পরী দেরিতে আসেন। এটা নিয়ে কথা বললে পরী খেপে যান। তিনি প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় দেরি করে যান এবং এটি নিয়ে আমরা প্রিয় ডট কমে খবর প্রকাশ করি।’
প্রিয় ডট কমে পরীর মাদক সেবন ও নাইট ক্লাবে যাওয়া নিয়ে খবর প্রকাশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদক মাহমুদ উল্লাহ বলেন, এ ধরনের কোনো প্রতিবেদন তাঁরা করেননি। খবরটি মুছে ফেলা হয়েছে কি না? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের খবর আমরা প্রকাশ করিনি, ডিলিটও করিনি।’
মামলার আরেক আসামি প্রিয় ডট কমের সম্পাদক জাকারিয়া স্বপন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বিয়ষটি জানতাম না, আমি খোঁজ নিচ্ছি।’
মামলায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরী মণি। বিচারক তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আরজিতে পরী মণি উল্লেখ করেন, প্রিয় ডট কমের রিপোর্টার তাঁর সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রলোভন দেখিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি এই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই রিপোর্টার তাঁর ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে গত ১৭ নভেম্বর প্রিয় ডট কমের প্রতিবেদক তাঁর সম্পাদক জাকারিয়া স্বপনের সহযোগিতায় প্রিয় ডটকমে পরী মণি সম্পর্কে একটি মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পরী মণি মাদক সেবন করেন, তিনি নাইট ক্লাবে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটান এবং এক সংসদ সদস্যের জোরে তিনি কাউকে পরোয়া করেন না।
বুধবার করা মামলা প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে পরী মণি বলেন, ‘আমি যদি নাইট ক্লাবে সময় কাটাই, নেশা করি তাহলে বছরে ছয়টা ছবি করলাম কীভাবে? আর আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রযোজক বা পরিচালকের তো কোনো অভিযোগ নেই। আসলে যাঁরা আমার সাফল্য দেখতে পারছেন না, এটা তাঁদের কাজ। তাঁরা আমার ভালো সহ্য করতে পারছেন না।’
প্রিয় ডট কম প্রায়ই এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে বলে অভিযোগ করেন পরী মণি। তিনি বলেন, ‘এই অনলাইন পত্রিকাটির বিরুদ্ধে অনেক তারকারই অভিযোগ রয়েছে। তারা নিজেদের অনলাইনের হিট বাড়ানোর জন্য নায়ক-নায়িকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে রসালো খবর ছাপায়।’