‘মাহির অগ্নির টাকায় চলছে ফারিয়ার আশিকী’
ঈদে সাধারণত বড় বাজেটের জনপ্রিয় শিল্পীদের ছবি মুক্তি পায় প্রেক্ষাগৃহে। ফলে সিনেমাগুলো বেশির ভাগ সময় এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়। অতীতের মতো এবারও বিগ বাজেটের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ‘আশিকী’ ছবিটি দ্বিতীয় সপ্তাহ ধরে চলছে অনেক প্রেক্ষাগৃহেই। কিন্তু কেমন চলছে, কী বলছে সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষ বা দর্শক।
ঢাকার বাইরে এখনো চলছে ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত শাকিব, অপু ও ববির ‘রাজাবাবু’ আর ঢাকার নুসরাত ফারিয়া ও কলকাতার নায়ক অঙ্কুশ অভিনীত ছবি ‘আশিকী’। এরমধ্যে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের কংকন সিনেমা হলে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো চলছে ‘অশিকী’।
কেমন চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে কংকন সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহিন বলেন, “ঈদের প্রথম দুইদিন হাউসফুল ছিল, এরপর আর দর্শক নাই। ১৮ জন ২০ জন দর্শক নিয়ে হল চালাচ্ছি। চলতি সপ্তাহে ‘রাজাবাবু’ চলাতে চেয়েছিলাম কিন্তু সামনে পূজায় ছবিটি ভালো চলবে, এই কারণে কিছুদিন পরই ছবিটি চালাব। যাতে পূজাটা ধরতে পারি। ‘আশিকী’ ছবিটা ভালো কিন্তু এটা গ্রামগঞ্জের মানুষ দেখবে না। কারণ ছবির গল্প, তাদের কথা বলার ধরন কোনোটাই আমাদের দেশের মতো না। এখানে ছবি দেখতে আসে কৃষক, শ্রমিক শ্রেণির দর্শক। এখন লোকসান দিয়েই ছবিটি চালাচ্ছি। এ ছবি চালানোর সুবিধা হচ্ছে, ছবিটি জাজ মাল্টিমিডিয়ার আবার আমাদের প্রজেক্টরও জাজের, যে কারণে একটু ব্যালেন্স করে চালাচ্ছি ‘আশিকী’।”
লোকসানের টাকা উঠে আসবে কীভাবে এমন প্রশ্নর জবাবে ব্যবস্থাপক শাহিন বলেন, “গত ঈদে আমরা ‘অগ্নি২ ছবিটা চালিয়ে ছিলাম। ভালো ব্যবসা করেছে ছবিটা। দুই সপ্তাহে সব কিছু বাদ দিয়ে আমরা সাড়ে চার লাখ টাকা কামাই করি। সেই সাড়ে চার লাখ টাকা থেকে কিছু টাকা ‘আশিকী’ ছবির পেছনে খরচ হচ্ছে। বলতে পারেন মাহির ‘অগ্নি’র টাকায় চলছে ফারিয়ার ‘আশিকী’। সব ছবিতে যে লাভ হয় তা না, কিন্তু হল তো চালাতেই হবে। দোয়া করেন যাতে দুর্গাপূজার আগে ‘রাজাবাবু’ ছবিটা পাইরেসি না হয়।’
যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকী’ ঈদের দিন শুক্রবার থেকে এক যোগে ১০৫টি হলে মুক্তি পায়। ভোলার দৌলত খাঁর ‘আনন্দ’ সিনেমা হলেও চলছিল এ সিনেমা। কিন্তু হঠাৎ করেই পাঁচদিনের মাথায় বুধবার আনন্দ হল থেকে সিনেমাটিকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, ‘আশিকী’ সিনেমাটি তেমন দর্শক টানতে না পারায় হলের মালিক সিনেমাটি নামিয়ে নতুন সিনেমা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সব মিলিয়ে ‘আশিকী’ চলচ্চিত্র রাজধানীর বাইরে তেমন সাড়া জাগাতে না পারলেও ‘রাজাবাবু’ ছবি ভালো ব্যবসা করেছে বলেই জানিয়েছেন অনেক হল কর্তৃপক্ষ।