প্রচণ্ড শীতে বৃষ্টির শুটিং!
দেশজুড়ে প্রচণ্ড শীত। স্মরণকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সে জন্য থেমে নেই ছবির শুটিং। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজেও শুটিং করছেন চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীরা। গতকাল মঙ্গলবার গানের শুটিং শেষে ঢাকায় ফিরেছেন নায়ক নিরব। তিনি টানা তিন দিন সিলেটে শুটিং করেছেন। তিনিই জানালেন শুটিংয়ের প্রয়োজনে বৃষ্টিতেও ভিজেছেন তিনি।
নিরব বলেন, ‘গত রোববার থেকে আমরা সিলেটে শুটিং করেছি। সেদিন থেকেই সিলেটে ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। গানের শুটিংয়ের জন্য আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু সন্ধ্যায় যখন বলা হলো, এই শীতে আমাদের বৃষ্টিতে ভিজতে হবে, সেটা শোনার পর থেকেই প্রচণ্ড রাগ লাগছিল। সন্ধ্যার পর শুরু হলো বৃষ্টির মাঝে শুটিং।’
পানি গরম ছিল কি না জানতে চাইলে নিরব বলেন, ‘পানি গরম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ড্রামভর্তি পানির মধ্যে যদি কয়েক কলস গরম পানি দেওয়া হয়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডা হয়ে যায়। তা ছাড়া শুটিং করতে সময় লাগে। যে কারণে আমাদের ঠান্ডা পানি দিয়েই শুটিং করতে হয়েছিল। তবে জীবন বাঁচিয়েছে গরম টাওয়াল। যখন দেখা গেল পানি গরম করা যাচ্ছে না, তখন এক বালতি গরম পানিতে একটা গরম টাওয়াল ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল, শট দিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমদের সেই টাওয়াল দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হতো। সে কারণেই সুস্থ হয়ে ফিরতে পেরেছি ঢাকায়। এরপরও শুকরিয়া, কারণ ছবির কাজটি শেষ করতে পেরেছি।’
এই ছবির গানের কোরিওগ্রাফি করছিলেন মাসুম বাবুল। কেন বৃষ্টিতেই ভিজতে হলো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার গানের কথা হচ্ছে ‘টিপ টিপ বৃষ্টি’, এখন আমি বৃষ্টি না দেখিয়ে পারছিলাম না, তারপরও আমি চেষ্টা করেছি, গানের বিশেষ মুহূর্তগুলো বৃষ্টিতে করেছি। আর বাকি জায়গাগুলো বৃষ্টি ছাড়া করেছি। এমনভাবে কাজটি শেষ করতে চেষ্টা করেছি, যেন গানের কথার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারি। তবে আমরা শুটিং ইউনিট নিয়ে সিলেট যেদিন গিয়েছিম, সেদিন তেমন ঠান্ডা ছিল না, ওদিন রাত থেকেই ঠান্ডা শুরু হয়।”
অন্যদিকে, ঠান্ডায় শুটিং উপভোগ করছেন আরেক নায়ক সাইমন সাদিক। তিনি এই শীতে মারামারির শুটিং করছেন। তিনি বলেন, ‘এবারের শীতটা বেশ এনজয় করেছি। কারণ আমি শীতের তিন দিন ফাইটের শুটিং করেছি। এমনিতে আমাদের গরমেও জ্যাকেট গায়ে শুটিং করতে হয়, আসলে শুটিংয়ের সময় মাথায় থাকে না এটা শীত, না গরম। তারপরও শীতে ফাইট করার মজাই আলাদা।’
‘তোলপাড়’ ছবির শুটিং করছেন মৌমিতা ও সরি রহমান। মৌমিতা বলেন, ‘এমনিতেই শীতটা একটু বেশি বেশি ছিল, তারপরও গত দুদিন রাতভর কাজ করেছি, প্রচণ্ড শীতে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানে আমরা শুটিং করেছি। এর মধ্যে থরথর করে কেঁপেছি, আগুন জ্বালিয়ে গরম পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এমন শীতে রাতভর শুটিং করাটা আমার স্মৃতির পাতায় থাকবে।’