বিদায়ী বছরে বলিউডের সাত ফ্লপ ছবি
হাঁটি হাঁটি পা পা করে শেষ হতে চলল ২০১৭। তবে শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়ে গেছে পাওয়া-না পাওয়ার বিভিন্ন হিসাব মেলানো। এই হিসাব মেলানোয় পিছিয়ে নেই বলিউডও। চলতি বছর যেমন ‘বাহুবলি : দ্য কনক্লুশন’-এর মতো সুপারডুপার হিট ছবি প্রসব করেছে, তেমনি জন্ম দিয়েছে প্রচুর ফ্লপ ছবি। সেসব ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন বলিউডের নামীদামি তারকারাই। চলতি বছরের ছবিগুলো ঘেঁটে বছরের সেরা সাত ফ্লপ ছবির তালিকা তৈরি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম বলিউড লাইফ ডটকম। চলুন, তাদের সৌজন্যে এক নজরে দেখে নিই বিদায়ী বছরের বলিউড ফ্লপগুলো।
যাব হ্যারি মেট সেজাল
‘যাব হ্যারি মেট সেজাল’-এর পরিচালকের কাছে সবকিছুই ছিল। শাহরুখ খানের মতো বলিউড তারকা, ইউরোপের লোকেশন এবং একটি প্রেমের কাহিনী। কিন্তু সবকিছু নিয়েই ব্যর্থ হলেন ছবিটির পরিচালক ইমতিয়াজ আলি। এ রকম খুব কমই ঘটেছে যে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে শাহরুখ খানের ছবি চলছে আর দর্শক বিরক্ত হয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ‘যাব হ্যারি মেট সেজাল’-এর ভাগ্যে ঘটেছে এটাই। ছবিতে এমন কিছু দৃশ্য রয়ে গেছে, যার কোনো মীমাংসা খুঁজে পায়নি দর্শক। যেমন শাহরুখ খান তাঁর পরিবারকে মনে করে কাঁদলেন; কিন্তু ভারত থেকে কীভাবে তিনি এখানে এলেন এবং গাইড হলেন?
টিউবলাইট
‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর সাফল্যে আরো একবার সরল সালমানকে পর্দায় উপস্থিত করতে চাইছিলেন পরিচালক কবির খান। কিন্তু পর্দায় সালমানকে নম্র এবং ভীরু উপস্থাপন করতে গিয়ে পর্দায় অন্য চরিত্রের হাতে মার খেতে বাধ্য করিয়েছেন কবির খান। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এ যদিও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে মারমুখী হয়েছিলেন সালমান; কিন্তু ‘টিউবলাইট’-এ সেটা ঘটেনি। আর এ রকম চরিত্রে ভক্তরা যে আর সালমানকে দেখতে চায় না, তার প্রমাণ ‘টিউবলাইট’।
বেগমজান
সাধারণত কোনো হিট চলচ্চিত্রের নতুন সংস্করণ তৈরি করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা। কলকাতায় মুখ থুবড়ে পড়া ‘রাজকাহিনী’র হিন্দি সংস্করণ হিসেবে নির্মিত হয় ‘বেগমজান’। তবু ছবিটির কাহিনীতে মুগ্ধ মহেশ ভাট ছবিটির প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বলিউড বক্স-অফিসেও আশানুরূপ আয় করতে পারেনি ছবিটি। বেগমজান চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের অভিনয় প্রশংসিত হলেও বিদ্যা বালানের অভিনয় ভালো লাগেনি সমালোচকদের।
হাসিনা পার্কার
একে তো নবীন অভিনেত্রী, তার ওপর প্রশ্নবিদ্ধ অভিনয়। ‘হাসিনা পার্কার’ ছবিতে শ্রদ্ধা কাপুরকে অভিনয় করতে দেওয়াটাই বোধ হয় ছিল ছবিটির সবচেয়ে বড় ভুল। মুম্বাইয়ের ত্রাস হিসেবে যতটা আক্রমণাত্মক অভিনয়ের প্রয়োজন ছিল, শ্রদ্ধা কাপুর তা পর্দায় উপস্থাপন করতে পারেননি। ফলে ফ্লপের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি।
অ্যা জেন্টেলম্যান
‘অ্যা জেন্টেলম্যান’ ছবিটিকে সাম্প্রতিক সময়ের হলিউড চলচ্চিত্রের ম্যাশ আপ বা সংকলনও বলা যায়। কিন্তু শুধু চাকচিক্য দিয়ে তো আর দর্শক টানা যায় না। কাহিনীতেও যথেষ্ট রসদ থাকতে হয়। সেই রসদের অভাবেই মুখ থুবড়ে পড়ে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ অভিনীত অ্যা জেন্টেলম্যান।
রাবতা
‘রাবতা’ দিয়েই বলিউডে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন দীনেশ ভাইজান। করণ-অর্জুনের মতো পুনর্জন্মের কাহিনী দিয়ে সাজানো হয় ছবিটি। কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুতের অদ্ভুত পোশাক, কৃতি স্যানন ও রাজকুমার রাওয়ের অপরিণত অভিনয়সহ নানাবিধ কারণে বক্স-অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিটি। এ ছাড়া ছবির কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রের মধ্যে রসায়নও ছিল অনুপস্থিত।
রেঙ্গুন
‘রেঙ্গুন’ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাউত, শহিদ কাপুর ও সাইফ আলি খান। বড় নাম থাকলেও কাহিনীতে যথেষ্ট দম দিতে ভুলে গিয়েছিলেন ছবিটির পরিচালক বিশাল ভারদ্বাজ। ফলে বক্স-অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিটি।