স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অমিতাভ-হেমা
২০১১ সালে মুক্তি পায় অমিতাভ বচ্চন ও হেমা মালিনী জুটির সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ‘বুড্ডা হোগা তেরা বাপ’। এরপর দুজনের আর একসঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয় করা হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবার একসঙ্গে ফিরেছেন বলিউডের এই দুই জীবন্ত কিংবদন্তি।
তবে এবার আর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে নয়। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। সংবাদমাধ্যম জুমটিভি খবরে প্রকাশ করে, ‘ভাদি-ই-কাশ্মীর’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই দুই গুণী।
ভাদি-ই-কাশ্মীর সম্পর্কে হেমা মালিনী বলেন, ‘একজন ভারতীয় হিসেবে এই ছবিটির মাধ্যমে আমি আমার কাশ্মীরবাসী ভাই ও বোনদের কাছে পৌঁছে যেতে চাই এবং তাদের হৃদয় স্পর্শ করতে চাই।’
শুধু ভারতের একতাই নয়, ছবিটির মাধ্যমে পৃথিবীর স্বর্গ-খ্যাত কাশ্মীরের সৌন্দর্য ও জনগণকেও তুলে ধরা হবে। এ ধরনের বিষয় নিয়ে ছবি করা যায় তাঁর প্রাথমিক ধারণা দিয়েছিলেন ‘ল অ্যান্ড কেনেথ সাথচি অ্যান্ড সাথচি’র চেয়ারম্যান প্রবীণ কেনেথ। ছবিটির সব খরচ বহন করছে কেন্ট আর ও সিস্টেম লিমিটেড। এর সংগীতের দায়িত্বে রয়েছেন শঙ্কর এহসান লয় এবং গুলজার। ‘ভাদি ই কাশ্মীর’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রদীপ শঙ্কর।
দুই সপ্তাহের শুটিং অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রদীপ বলেন, ‘৬২ বছর বয়সেও আমি প্রেমে পড়েছি। এটা সম্ভব। এটা ঘটেছে যখন আমি কাশ্মীরে গিয়েছি। কাশ্মীরে এটা আমার প্রথম ভ্রমণ ছিল কিন্তু আমার মনে হয়েছে এই জায়গাটাকে আমি আগে থেকেই চিনি। উষ্ণ অভ্যর্থনা ও বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের জন্য আমার মনেই হয়নি আমি বাসা থেকে দূরে এসেছি। এই ছবিতে আমি কাশ্মীরের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি চাই আবার ফিরে গিয়ে কাশ্মীরের যে সৌন্দর্যটা এখনো আবিষ্কার হয়নি সেটা খুঁজে বের করি। বিশ্বাস করুন, আমরা এখন কাশ্মীরের অনেক সৌন্দর্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নই।’
ছবিটির শুরুতে এর মূল বার্তা দেন অমিতাভ বচ্চন। আর শেষটা করেন হেমা মালিনী। মাঝখানের সময়টুকুতে ফুটিয়ে তোলা হয় কাশ্মীরের প্রাকৃতিক ও জনপদের সৌন্দর্য।