এবার শাহরুখের কাছে অর্থ ফেরত চান পরিবেশকরা
বলিউডে এখন খারাপ সময় চলছে। কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত বড় তারকাদের ছবিগুলো তেমনভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি।
চলতি বছরে সালমান খান ও শাহরুখ খানের মুক্তি পাওয়া ছবি দুটিই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। শুধু সালমান, শাহরুখই নয়- রণবীর কাপুরের ‘জাগ্গা জাসুস’ ছবিটিকেও বক্স অফিসে মহাবিপর্যয়ে পড়তে হয়েছে।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া শাহরুখ খানের ‘জাব হ্যারি মেট সেজাল’ ছবির কারণে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে এর পরিবেশক সংস্থা এনএইচ স্টুডিওকে। এই স্টুডিওটি শুধু ভারতে ‘টিউবলাইট’-এর জন্য ১৩২ কোটি এবং জাব হ্যারি মেট সেজালের আশি কোটি রুপিতে স্বত্ব কিনে নিয়েছিল।
‘টিউবলাইটে’র ব্যর্থতার কারণে অনেক পরিবেশক জাব ‘হ্যারি মেট সেজালে’র জন্য ভালো দাম দিতে চাননি। এনএইচ স্টুডিওর স্বত্বাধিকারী নরেন্দ্র হিরওয়াত জানান, জাব হ্যারি মেট সেজালের পরিবেশক স্বত্ব বিক্রি হয়েছে অনেক সস্তায়ই। তবে এই ‘সস্তা স্বত্ব’ কিনেও অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
‘জাব হ্যারি মেট সেজালে’র বিপর্যয় এতটাই ভয়াবহ যে কম দামে পরিবেশকরা তাদের স্বত্ব বিক্রি করেও তাদের বিনিয়োগের অর্থ তুলতে পারেননি।
এ অবস্থায় পরিবেশকরা শাহরুখ খানকে জিজ্ঞাসা করেছেন, সালমানের মতো তিনি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না অর্থ ফেরতের ব্যাপারে। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে অর্থ ফেরত চান।
২০১৫ সালে ‘দিলওয়ালে’ ছবির জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের শাহরুখ ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। তিনি ওই সময়ে ২৫ কোটি রুপি দিয়েছিল এবং এতে পরিবেশকরা তাঁদের অর্ধেক ক্ষতি পূরণে সক্ষম হয়েছিলেন।
এর আগে শাহরুখ খান ২০০১ সালে ‘অশোকা’ এবং ২০০৫ সালে ‘পেহেলি’ ছবির বক্স অফিসে সাফল্য না পাওয়ায় পরিবেশকদের অর্থ ফেরত দিয়েছিল। ‘অশোকা’ ছবির ব্যর্থতার কারণে ‘চলতে চলতে’ ছবির খুব কম দামে বিক্রি করা হয়েছিল।
যাই হোক শাহরুখ খানকে যে অর্থ ফেরত দিতে হবে তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবুও পরিবেশকরা আশা করছেন সালমানের মতো শাহরুখ ও অর্থ ফেরত দিতে রাজি হবে এবং চলচ্চিত্রশিল্পকে বাঁচাবেন।