‘শ্রমিকের চরিত্রে কাজ করা অনেক কঠিন ছিল’
সাজেদুল আউয়াল পরিচালিত ‘ছিটকিনি’ ছবিটি সম্প্রতি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। ছবিটিতে কাজের অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
এনটিভি অনলাইন : ‘ছিটকিনি’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
রুনা খান : ‘ময়মুনা’ আমার চরিত্রের নাম। ছবিতে আমি পাথরভাঙা একজন শ্রমিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। শ্রমিকের চরিত্রে কাজ করা অনেক কঠিন ছিল। এই কথা বলছি কারণ আমাকে শুটিংয়ে সত্যি সত্যি পাথর ভাঙতে হয়েছে। বুঝতেই পারছেন, এটা সহজ কাজ ছিল না। শুধু আমি নই, ছবির সব শিল্পীই অনেক পরিশ্রম করেছেন। ছবির সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার সংবাদ শুনে অনেক আনন্দ লাগছে। দর্শক ছবিটি ভালোভাবে গ্রহণ করলে আরো ভালো লাগবে।
এনটিভি অনলাইন : শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
রুনা খান : ছবির শুটিং অনেক আগেই আমরা করেছিলাম। পঞ্চগড়ে শুটিং হয়েছিল। তখন ছিল শীতকাল। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে শুটিং করতে কষ্ট হয়েছিল। তারপরও শুটিং উপভোগ করেছিলাম। কারণ ছবির গল্প ও চরিত্র অনেক বাস্তবধর্মী। আমাদের সমাজের চিত্র এখানে তুলে ধরা হয়েছে। শুটিংয়ের আগে পাথর শ্রমিকরা কীভাবে কাজ করেন সেটা ভালোভাবে জেনে নিয়েছিলাম। তাঁদের কাজ করা দেখেছি। ছবিতে আমার নিজের কেনা কসটিউম পরতে দেওয়া হয়নি। কারণ সেগুলো নতুন শাড়ি ছিল। চরিত্র ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য বস্তির মহিলাদের শাড়ি আমাকে পরতে হয়েছিল।
এনটিভি অনলাইন : এবার আপনার মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘গহীন বালুচর’ ও ‘হালদা’ ছবি সম্পর্কে জানতে চাই...
রুনা খান : বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত ‘গহীন বালুচর’ ছবিটিতে অনেক মেধাবী শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। আমার চরিত্রটি ছবিটির একটি ছোট অংশ মাত্র। ছবির গল্প অনেক সুন্দর। তিনটি প্রেমের গল্প এখানে আছে। কাজ করে অনেক ভালো লেগেছে। কারণ সুবর্ণা মুস্তাফা ও বদরুল আনাম সৌদ অনেক গুছিয়ে কাজ করেন। অন্যদিকে, তৌকীর আহমেদের ‘হালদা’ ছবিটি নারীর সংগ্রামী জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে। নদী কিংবা নারীর পথচলা কিছুটা একই রকম। জীবনে অনেক ঝড় আসে। সেই ঝড়ের মোকাবিলা করতে হয়। ছবিতে এই বিষয়গুলো দেখানো হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : নারীর সংগ্রামী চরিত্রে আপনি অনেক অভিনয় করেছেন। বাস্তবে অভিনয় করতে আপনাকে সংগ্রামী হতে হয়েছি কি?
রুনা খান : এদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবতী। আমার কাজের ব্যাপারে পরিবারের সমর্থন অনেক ছিল। ছোটবেলায় বাফা স্কুলে নাচ শিখেছি। মঞ্চনাটক করেছি। এরপর তো টেলিভিশন নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ শুরু করি। বিয়ের আগেও আমি যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করেছি এবং বিয়ের পরও তা করতে পারছি। আমার শ্বশুর ওয়াহিদুল হক ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। আমার অভিনয়ের ব্যাপারে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সবার অনেক উৎসাহ পেয়েছি। পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা ছাড়া মেয়েদের কাজ করা আসলেই অনেক কঠিন। এটা আমিও বিশ্বাস করি।
এনটিভি অনলাইন : বর্তমানে আপনার কাজের ব্যস্ততা কী নিয়ে?
রুনা খান : আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশকিছু নাটকে অভিনয় করছি। এ ছাড়া কিছু ধারাবাহিক ও একক নাটকের শুটিং নিয়েও ব্যস্ত আছি।