জিম মেসকিমেনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শিনা
হলিউডের জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান জিম মেসকিমেনের সঙ্গে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী শিনা চৌহান। ‘ওয়ার্ডস’ নামে ছবিটি সম্প্রতি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা করেছেন জিম নিজেই। ছবিতে নিজের চরিত্র ও কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন শিনা চৌহান।
এনটিভি অনলাইন : ‘ওয়ার্ডস’ ছবিটির শুটিং কবে হয়েছিল?
শিনা চৌহান : খুব বেশি দিন হয়নি। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে আমি বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং করেছি। এর মধ্যে ‘ওয়ার্ডস’ অন্যতম।
এনটিভি অনলাইন : কমেডিয়ান তারকা জিম মেসকিমেনের সঙ্গে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শিনা চৌহান : জিম মেসকিমেনের বিপরীতে অভিনয় করে দারুণ লেগেছে। আপনি জানেন, জিম মেসকিমেন হলিউডের সেরা কমেডিয়ানদের মধ্যে একজন। আমি তাঁর কাছ থেকে কীভাবে কমেডি করতে হয়, শিখেছি। অভিনয়ও শিখেছি। তিনি সত্যিই চমৎকার একজন কমেডিয়ান। ছবিতে হলিউডের আর এক অভিনেতা জ্যাক নিকোলসনও আছেন। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও ছিল অসাধারণ।
এনটিভি অনলাইন : ছবিতে আপনার চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাই...
শিনা চৌহান : আমার চরিত্রের নাম টিনা। আমি একজন সাংবাদিক থাকি। প্রথমবারের মতো আমি সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটি নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। ছবিতে দেখানো হয়েছে, হলিউডের নামকরা তারকাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাই। আমার উদ্দেশ্য থাকে হলিউড তারকাদের ওপর ভালো প্রতিবেদন লেখার। এটা আসলে কমেডি ফিল্ম। ছবিটির দৈর্ঘ্য ৫ মিনিট। তবে ছবিটির গুরুত্ব অনেকখানি, কারণ এখানে একটি সুন্দর সামাজিক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : কী সেই সামাজিক বার্তা?
শিনা চৌহান : এককথায় বলতে পারি, ভাষা শিক্ষার অধিকার নিয়ে সচেতনতামূলক একটি ছবি। কিছু কিছু শব্দের অর্থ অভিধানেও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আবার অনেক স্কুলে ভালো পড়াশোনা করানো হয় না। কমেডির মধ্য দিয়ে ছবিতে এই বার্তাটি মূলত দেওয়া হয়েছে। আমরা পরস্পর কথা বলতে গিয়ে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝির শিকার হই। এর কারণ অনেক সময় আমরা কিছু শব্দের অর্থ বুঝতে পারি না। সাধারণত আমাদের শিক্ষার অভাবে এমনটা ঘটে থাকে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দের মানে অজানা থাকলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এর প্রভাব অনেক। এ জন্য আমাদের অনেক পড়াশোনা করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক পড়াশোনা করতে পছন্দ করি। বলতে পারেন, পড়াশোনা করেই আমি আমার জীবন বদলাতে পেরেছি। এই ছবি যে কেউ দেখলে পড়াশোনা করতে উৎসাহী হবেন। বাংলাদেশি মেয়েদেরও পড়াশোনা করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আশা করি, তাঁরাও উৎসাহী হবেন।