নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়েছেন পপি
‘গত রাতে শুটিং শেষ হয়েছে রাত ১২টার দিকে। ঈদে বেশ কয়েকটি টেলিছবিতে কাজ করছি, তারই একটার শুটিং বাকি ছিল। আমি শুধু টেনশন করছিলাম, কখন শেষ হবে। ১টায় রওনা দিয়েছি, যত সময়ই লাগুক, ঈদটা বাড়িতেই করতে চাই। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ করার সুযোগটা মিস করতে চাই না।’ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে ফিরতে এভাবেই নিজের ঢাকা ছাড়ার কথা বলছিলেন নায়িকা পপি। সুযোগ পেলেই গ্রামের বাড়ি ঈদ করেন খুলনার মেয়ে পপি।
পারিবারিক পরিবেশে ঈদ করতে পছন্দ করেন পপি। তিনি বলেন, ‘আমরা যৌথ পরিবারের মানুষ। চাচা, চাচি, চাচাতো ভাইবোন সবাই মিলে এক বাড়িতে বড় হয়েছি।
সেখানকার প্রতিটি জায়গার সঙ্গে এক ধরনের বন্ধন কাজ করে। আর ঈদের দিনটা হয় আরো বর্ণাঢ্য। এখনো আমার ভাইবোনেরা সবাই ঈদে বাড়ি চলে আসেন। অনেক মজা করি, কিছুতেই তা মিস করতে চাই না।’
‘আমার দাদির কথা খুব মনে পড়ে। সাত-আট বছর হলো তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা সবাই ঈদের আগের দিন সারা রাত অপেক্ষায় থাকতাম, কখন ভোর হবে, দাদির কাছে সালামি আনতে যাব। যে আগে যাবে, সে আগে পাবে। নতুন নতুন চকচকে টাকা দাদি আগেই এনে রাখত। এখন বাড়িতে দাদির ঘরটা দেখলেই মন খারাপ হয়ে যায়, কারণ তিনি আমাদের সব নাতির অনেক ভালো বন্ধু ছিলেন।’ এভাবেই দাদিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন পপি।
ঢাকার বন্ধুদেরও অনেক মিস করেন পপি, যদিও ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে এখনো আড্ডা দেন তিনি। ঢাকায় থাকলে তাঁদের নিয়েই ঈদ করেন তিনি। পপি বলেন, ‘আমার চলচ্চিত্রে কোনো তেমন বন্ধু নেই। ছোটবেলা থেকে যাঁরা আমরা একসঙ্গে পড়েছি, তাঁরাই আমার কাছের বন্ধু। তাঁদের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকে, ঢাকায় ঈদ করলে আমরা সবাই একসঙ্গে ঈদ করি। এবার বন্ধুদের অনেক মিস করব।’