পি এ কাজলের প্রয়াণ
চলে গেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক পি এ কাজল। গতকাল বুধবার রাত ১২টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন তিনি যকৃতের রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কিছুদিন আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি কলকাতা গিয়েছিলেন। আজ দুপুরে রায়েরবাজারে প্রয়াত পরিচালকের মৃতদেহ দাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন ছেলে চয়ন আচার্য।
চয়ন আচার্য এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গতকাল রাতে ১২টায় বাবা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বাবা অনেক দিন ধরেই লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। এর মধ্যে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায়ও গিয়েছিলাম, সেখান থেকে ফিরে আসার পর গত ৪ মে বাবার অবস্থা খারাপ হলে আবার হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বাবার অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। রাত ১২টার দিকে ডাক্তার বাবাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
কখন দাহ করা হবে—জানতে চাইলে চয়ন বলেন, ‘বাবার মৃতদেহের অবস্থা ভালো নয়। যে কারণে অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই আজ দুপুরে আমরা উনার দাহ করছি।
রায়েরবাজারের শ্মশানে তাঁর মৃতদেহ দাহ করা হবে।’
পূর্ণেন্দু আচার্য কাজল চলচ্চিত্র জগতে পি এ কাজল হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেন। মৃত্যুর সময় স্ত্রী সুচিত্রা আচার্য, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার পি এ কাজলের মরদেহ এফডিসিতে দুপুরে আনা হয়।
পি এ কাজল চাষী নজরুল ইসলামের সহকারী হিসেবে রুপালি জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৯১ সালে ‘গোধূলী’ দিয়ে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘সাব্বাস বাঙালি’, ‘ভণ্ড ওঝা’, ‘গণ দুশমন’, ‘ভালোবাসা আজকাল’, প্রাণের স্বামী’, ‘এক টাকার বউ’ প্রভৃতি।