সুপার শেফ পিংকি, রানার আপ শম্পা
এনটিভির রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘রূপচাঁদা-ডেইলি স্টার সুপার শেফ ২০১৭’-এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আয়েশা সিদ্দিকী পিংকি। প্রথম রানার আপ হয়েছেন শম্পা রহমান। আর দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন মায়মুনা আক্তার।
আজ শনিবার রাতে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করেছিলেন আয়েশা সিদ্দিকী পিংকি ও শম্পা রহমান।
বিজয়ী আয়েশা সিদ্দিকী পিংকি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণের ট্রফি। রানার আপ শম্পা রহমান পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা এবং মায়মুনা আক্তার পেয়েছেন তিন লাখ টাকার পুরস্কার।
বিচারক প্যানেলে ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব তারিক আনাম খান, শেফ ড্যানিয়াল গোমেজ ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ নাজমা হুদা। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিম। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেন ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্র।
তারিক আনাম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রান্নার প্রতিযোগিতামূলক এটা অনেক বড় শো। সারা দেশ থেকে অনেক ভালো ভালো প্রতিযোগী আমরা পেয়েছি। যাঁরা আজ ফাইনালে লড়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অনেক ভালো পারফর্ম করেছেন। বিজয়ী পিংকির জন্য আমার শুভকামনা।’
ড্যানিয়াল গোমেজ বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা থেকে আমরা আসলে আন্তর্জাতিক মানের শেফ খুঁজি, যাঁরা সব ধরনের রান্না করতে পারদর্শী। এ জন্য অনেক ধৈর্য্য ও মেধার প্রয়োজন হয়। পিংকি ও শম্পার মধ্যে এ ব্যাপারটা আমি খেয়াল করেছিলাম। আমাদের বিচারকাজ শতভাগ সৎ ছিল। আমি এই প্রতিযোগিতার একজন বিচারক হয়ে গর্ববোধ করছি।’
নাজমা হুদা বলেন, ‘আমি এই প্রতিযোগিতার শেষ কিছু পর্বের বিচারক ছিলাম। শুরুর পর্বগুলোর বিচারক ছিলেন শারমীন লাকী। অসুস্থতার কারণে তিনি শেষ কিছু পর্বের শুটিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। যাঁরা রন্ধনশিল্পী হতে চান, তাঁদের জন্য সুপার শেফ প্রতিযোগিতা অনেক বড় প্লাটফর্ম। এই প্রতিযোগিতার একজন বিচারক হতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।’
বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘দেশে রান্নার প্রতিযোগিতা নিয়ে অনেক বড় রিয়েলিটি শো এটি। এখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অনেক ভালো লেগেছে। অনুষ্ঠানটি খুব উপভোগ করেছি।’
প্রযোজক ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্র বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে এই রিয়েলিটি শো আমরা করছি। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের রান্নার প্রতিযোগিতামূলক শো। শুরু থেকে অনেক যত্ন নিয়ে আমরা কাজটা করছি। প্রতিবছর অনুষ্ঠানে আমরা ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। অনুষ্ঠানের ধরন, সেট ও মান বদলানোর চেষ্টা করি যাতে দর্শক বিরক্ত না হন। আমরা এ প্রতিযোগিতায় মূলত অলরাউন্ডার ও আন্তর্জাতিক মানের শেফ খুঁজি। অনেক গৃহিণী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন কিন্তু তাঁরা খুব ভালো কিছু করতে পারেন না। এ কারণে তাঁরা মাঝপথে ঝরে পড়েন। এ প্রতিযোগিতায় লড়ার জন্য সব ধরনের রান্নার কৌশল রপ্ত করতে হবে। এবার যাঁরা বিজয়ী হলেন, তাঁরা সত্যিই এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। ২০১৮ সালে এই প্রতিযোগিতা আবার হবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
‘রূপচাঁদা-ডেইলি স্টার সুপার শেফ ২০১৭’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সারা দেশ থেকে প্রায় ২০ হাজার প্রতিযোগী নিবন্ধন করেন। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে ৪০ জনকে নির্বাচন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০ জন চূড়ান্ত পর্বের জন্য লড়াই করেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠানটি এনটিভিতে প্রচার করা হয়।
এর আগে ‘রূপচাঁদা-ডেইলি স্টার সুপার শেফ ২০১৬’-এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন রাফিয়া আহমেদ, প্রথম রানার আপ হাসিনা ইরফান ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছিলেন ফাতেমা আবেদীন। ‘রূপচাঁদা-ডেইলি স্টার সুপার শেফ ২০১৫’-এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন উম্মে কুলসুম চৌধুরী, প্রথম রানার আপ জেবুন্নেসা খান জেবা ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছিলেন নাদিম সরকার। ‘রূপচাঁদা-ডেইলি স্টার সুপার শেফ ২০১৪’-এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ফারহানা আক্তার, প্রথম রানারআপ আরমিন জুঁই ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছিলেন নাসরিন হোসেন।